কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকার থেকে ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার 14 বছর পার হতে চলল ৷ নির্বাচনী ময়দানে আসন সংখ্যার নিরিখে ছ’বছর আগে থেকেই শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে সিপিএম ৷ ভোটে জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়াও ক্রমশ ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠছে কাকাবাবুর দলের কাছে ৷ এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসার কথা প্রায়ই শোনা যায় আলিমুদ্দিনের নেতাদের মুখে ৷ কিন্তু তাঁদের মুখের কথার কি বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে ? সিপিএমের নতুন রাজ্য কমিটিতে থাকা নামগুলি দেখলে উত্তর অবশ্যই নেতিবাচক বলেই মনে হবে ৷
সিপিএমের 27তম রাজ্য সম্মেলনে মঙ্গলবার নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে ৷ সেখানে ঠাঁই পেয়েছেন 80 জন ৷ সেই কমিটির প্রথম বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মহম্মদ সেলিমকেই আবার রাজ্য সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ৷ নতুন মুখ হিসেবে রয়েছেন 11 জন৷ বয়সজনিত কারণে বেশ কয়েকজন বাদ পড়েছেন ৷ গতবারের থেকে এবার বেড়েছে মহিলা সদস্যর সংখ্যা ৷
বয়সজনিত কারণে বাদ পড়লেন রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুখেন্দু পানিগ্রাহী, অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার । জীবেশ সরকারের জায়গায় গৌতম ঘোষ রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন ৷ একই সঙ্গে মেদিনীপুরের 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ-বিতর্কিত' নেতা সুশান্ত ঘোষকে বাদ দেওয়া হয়েছে । তাঁর জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল রাজ্য কমিটির সদস্য হয়েছেন ৷ বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, অমিয় পাত্র, রবীন দেব, জীবেশ সরকার মিলিয়ে পাঁচ প্রবীণ নেতা বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকছেন ।