সুকান্ত মজুমদারকে রাজনীতিতে নাবালক বলে কটাক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ৷ (ইটিভি ভারত) কলকাতা, 7 মে: সন্দেশখালির 'স্টিং অপারেশন' এআই কারসাজি বলে দাবি করেলেন সুকান্ত মজুমদার ৷ যা নিয়ে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে রাজনীতির মঞ্চে 'নাবালক' বলে কটাক্ষ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ তণমূল মুখপাত্রের পালটা দাবি, ভিডিয়োতে থাকা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বীকার করেছেন, তিনি সেই কথাগুলি বলেছেন ৷ তাই সুকান্ত যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন, তা রাজনীতির আঙিনায় নাবালক তুল্য বলে মন্তব্য করেন চন্দ্রিমা ৷
চন্দ্রিমার কথায়, "সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি, আবার বিদায়ী সাংসদও বটে ৷ এবার তিনি প্রাক্তন হতে চলেছেন ৷ তবে, রাজনীতির মাঠে উনি হলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক ৷ ওনার নেতা গতকাল এলেন ৷ দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন ৷ রোড-শো করলেন ৷ কই সন্দেশখালির ভিডিয়ো নিয়ে একটা শব্দও খরচ করলেন না ৷ বললেন না-তো ভিডিয়োটা ফেক ৷ ওনারা বলছে এআই ব্যবহার করা হয়েছে ৷ আরে সেই বিজেপি নেতা নিজে বলছেন, ভিডিয়োতে তাঁকে দেখা গিয়েছে ৷ কথাগুলি উনি বলেছেন ৷ এরপরে আবার কীসের এআই ? যা খুশি বলে দিলেই হয়ে গেল ? এখন যাই হবে এআই !"
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির স্টিং-অপারেশনের ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে সুকান্ত মজুমদার আজ বিস্ফোরক দাবি করেছেন ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের গলার স্বরকে নকল করেছে ওই ভিডিয়োতে ৷ আর সেই ভিডিয়ো সবার আগে পুলিশের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে আপলোড করা হয়েছিল ৷ এক্ষেত্রে আইপি অ্যাড্রেস গোপন করতে ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্য়বহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত ৷
তাঁর দাবি অনুযায়ী, "আমাদের কাছে পুরো খবর চলে এসেছে ৷ একজন সাংবাদিককে সামনে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়েন্দারা এই স্টিং-অপারেশন চালিয়েছে ৷ পুলিশ পুরো বিষয়টি করিয়েছে ৷ প্রথম এই ভিডিয়ো পুলিশের হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল ৷ ভিপিএনের সাহায্য মাস্কিং করা হয়েছে ৷ যাতে বোঝা না যায়, কে এটি পোস্ট করেছে ৷ তার তদন্ত চলছে ৷ যে পুলিশ অফিসার ও তাঁর দল এটি করেছে, কেউ বাঁচবে না ৷ তাদেরও আমরা জেলে পাঠাব ৷"
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালির ভিডিয়ো ভাইরাল! মুখ খুললেন শেখ শাহজাহান
- বিজেপি না-ছাড়ার শোধ নিচ্ছে তৃণমূল, সন্দেশখালি 'স্টিং অপারেশন' নিয়ে অভিযোগ গঙ্গাধরের স্ত্রীর