ধূপগুড়ি, 19 জানুয়ারি: অবশেষে ঘোষণা হল ধূপগুড়ি মহকুমার । জারি হল বিজ্ঞপ্তি । এতেই ধূপগুড়ি শহর ও ব্লক জুড়ে উচ্ছ্বাসের ছবি ধরা পড়েছে । বৃহস্পতিবারই ধূপগুড়ির বিধায়ক তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় জানিয়েছিলেন, মহকুমা ঘোষণার বিষয়ে যে জট আদালতে আটকে ছিল, তা কেটে গিয়েছে । এরপরই শুক্রবার সকালে ধূপগুড়ি মহকুমার বিজ্ঞপ্তি জারি হল । স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন সেই বিজ্ঞপ্তি ।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে জলপাইগুড়ি জেলায় 19 জানুয়ারি থেকে তিনটি মহকুমা হল । যার মধ্যে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমায় রয়েছে কোতোয়ালি, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও ভক্তিনগর থানা এলাকা । ধূপগুড়ি মহকুমায় থাকছে ধূপগুড়ি ও বানারহাট থানা এলাকা । মালবাজার মহকুমায় থাকছে মালবাজার, মেটেলি ও নাগরাকাটা থানা । তবে ঘোষিত মহকুমার পরিধি কী হবে এবং কবে থেকে কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
এদিকে বিজ্ঞপ্তি দেখে যথেষ্ট খুশি ধূপগুড়ি মহকুমার দাবিতে আন্দোলনরত ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ । সংগঠনের তরফে অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা খুব খুশি । এই জয় ধূপগুড়িবাসীর । আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল । অনেকেই অনেকরকম বিদ্রূপ করেছিলেন আমাদের আন্দোলন নিয়ে । তারপর আজকের দিনটা সত্যিই আনন্দের । আমরা পথের মানুষ, আমাদের এই জয়ের উল্লাস হচ্ছে । তবে সরকারের কাছে অনুরোধ মহকুমা হাসপাতাল হিসেবে হাসপাতালের পরিষেবাটা তাড়াতাড়ি শুরু করা হোক ।’’
উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি মহকুমার প্রস্তাবিত এলাকা ছিল 561 বর্গ কিমি । মহকুমার দাবিতে প্রস্তাবিত ব্লক ছিল ধূপগুড়ি ও বানারহাট ৷ বানারহাট ব্লকে রয়েছে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ আর ধূপগুড়ি ব্লকে ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ৷ ধূপগুড়ি ব্লকের জনসংখ্যা প্রায় 4 লক্ষের বেশি । ধূপগুড়ি পৌরসভা এলাকায় থাকেন প্রায় 47 হাজার মানুষ ৷ বানারহাট ব্লকের জনসংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষের বেশি । এই মহকুমার মধ্যে ধূপগুড়ি ও বানারহাট থানা এলাকায় রাখার প্রস্তাব ছিল ৷ বিজ্ঞপ্তিতে সেটাই রয়েছে ৷ এই দুই থানা এলাকায় আংড়াভাষা, নাথুয়া, বিন্নাগুড়ি ও চাম্মুর্চিতে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৷ এছাড়া চাম্মুর্চিতে ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তও রয়েছে ৷
বন দফতরের বেশ অনেকটা অংশ এই মহকুমার মধ্যে পড়বে ৷ তাছাড়া বেশ কয়েকটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ৷ আর রয়েছে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও বানারহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র । মহকুমা হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য-সহ একাধিক জায়গায় পরিকাঠামোর উন্নতি হবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ ৷