বারুইপুর, 28 মে: শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে এসে বাংলায় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গোপন আঁতাত তৈরির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি এই অভিযোগ করেন ৷
প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘সিপিএম ও তৃণমূলের দোকান আলাদা ৷ কিন্তু মালপত্র এক৷ এরা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করে ৷ দু’টো দলই গণতন্ত্র বিরোধী ৷ বাংলায় কোনও ভোটই হিংসা ছাড়া হয় না ৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমকে দেওয়া ভোট তৃণমূলের কাছেই যাবে ৷ তৃণমূলকে সাহায্য করতে সিপিএম ভোটে লড়ছে ৷ পর্দার পিছনে এরা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ৷ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী ম্যাডাম তো বলেছেন, দিল্লিতে এঁদের সঙ্গে থাকবেন ৷’’
প্রধানমন্ত্রী আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সকাল-সন্ধ্যা ভোট ব্যাংক, গালিগালাজ করে ৷ এদের কাছে দেশের জন্য, বাংলার জন্য কি কোনও লক্ষ্য আছে ? যারা শুধু ভোট ব্যাংকের জন্য কাজ করে, তারা যুবদের কর্মসংস্থান করতে পারবে না ৷ তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের লাভের জন্য মানুষকে গরিব করে রাখতে চায় ৷’’ তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাংকের জন্য সব কাজ করে ৷ তাই সংখ্যালঘুদের খুশি করতে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় মানতে চাইছে না তারা ৷
এই সভাতেও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা বলেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারছে না ৷ তাই তৃণমূলের শাস্তি পাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সুশাসন মাইক্রোস্কোপের নিচেও পাওয়া যায় না ৷’’ এ দিন ভাষণের মাঝে রবি ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কবিতার কয়েকটি লাইনও বলেন ৷ বাংলায় বলতে গিয়ে উচ্চারণগত ত্রুটি যে হচ্ছে, তা স্বীকার করেও নেন তিনি ৷ এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন ৷
আরও পড়ুন: