কলকাতা, 11 মে: শেষবার গত 2 মে কলকাতা রাজভবনে রাত কাটিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। সেই 'অভিযোগ-বিতর্ক' আজও অব্যাহত। ইতিমধ্যে, 9 দিন কেটে গিয়েছে। এসবের মাঝে শনিবার ফের কলকাতা রাজভবনে রাত কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রাজভবনে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃষ্টির কারণে বিমান চলাচলে দেরির ফলে, নির্ধারিত সময়ের পরেই তিনি রাজভবনে প্রবেশ করেন। এখানে রাত কাটিয়ে আগামিকাল রবিবার সকাল 10টার পরে রওনা দেবেন নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশে।
সকাল সাড়ে এগারোটায় ব্যারাকপুরের জিলেবি গ্রাউন্ডে তাঁর জনসভা রয়েছে। সেখান থেকে চলে যাবেন বেলা একটায় হুগলির চুঁচুড়ায়। তারপর আরামবাগের পুরশুরায় জংলিপাড়ায় জনসভা। সেই জনসভা শেষ করে হাওড়ার সাকরাইলে নির্বাচনী সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটি জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের সমৰ্থনে বক্তব্যও রাখবেন তিনি। সামগ্রিকভাবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কংগ্রেস তো বটেই বাম-কংগ্রেসকেও চেনা মেজাজে আক্রমণ করবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানি অভিযোগের এখনও কোনও নিরসন হয়নি। বিতর্ক এড়াতে-নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে মরিয়া সিভি আনন্দ বোস। যে কারণে গত বৃহস্পতিবার তিনি রাজভবনের প্রায় 1 ঘন্টা 20 মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনেন ৷ অন্যদিকে, পালটা অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর অনুমতি ছাড়া জনসমক্ষে তাঁর ছবি-ভিডিয়ো আনতে পারেন না রাজ্যপাল। এটি আইনের পরিপন্থী। যদিও রাজভবনের দেখানো সিসিটিভি ফুটেজে অভিযোগকারীকে হেনস্তার কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি। বরং, ওই ফুটেজের নির্দিষ্ট সময়ে অভিযোগকারীকে রাজভবন থেকে বেরিয়ে পুলিশ আউট পোস্ট ও তারপরে ওসির ঘরে ঢুকতে দেখা যায়।