কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: গণঅভ্যুত্থান রাজনীতিতে নায়কের জন্ম দেয় ৷ নন্দীগ্রামে গণঅভ্যুত্থান বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন প্রতিষ্ঠা করেছিল, তেমনই ছকে দিয়েছিল শাসক হিসেবে মমতার রাস্তা ৷ জমি জবরদখলের অভিযোগ সামনে এনে একইভাবে সন্দেশখালিতে গণঅভ্যুত্থান দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা ৷ নন্দীগ্রামের স্মৃতি উসকে সম্প্রতি সন্দেশখালির বাসিন্দাদের 'মসিহা' হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে বামেদের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ৷ আগামীতে রাজ্য-রাজনীতিতে কতটা ছাপ রাখতে পারবেন তিনি তা অজানা, তবে জননেত্রী হওয়ার সমস্ত রসদ যে মীনাক্ষীর মধ্যে রয়েছে; সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল ৷
আর ঠিক সেই কারণেই পক্ককেশী বামেদের দুঁদে নেতৃত্ব সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিগেডে ডিওয়াইএফআই'য়ের সমাবেশে মঞ্চের নীচ থেকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছে কুলটির মেয়ের ভাষণ ৷ সেই মঞ্চেই নজরুলের 'বিদ্রোহী' পাঠ করতে গিয়ে থমকেছিলেন মীনাক্ষী ৷ কিন্তু ধক নিয়ে ভরা সমাবেশে জানিয়েছিলেন, ভুলে গেছি ৷
সেই একই ধক নিয়েই সম্প্রতি মুখ ঢেকে, বেশভূষা বদলে মীনাক্ষী পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির নির্যাতিত-প্রতারিতদের কাছে ৷ যেমনটা দেড় দশক আগে পুলিশের দুর্ভেদ্য নজর এড়িয়ে নন্দীগ্রামে পা রেখেছিলেন মমতা ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে অন্যান্য দলীয় নেতারা যখন সন্দেশখালির বহু দূরে থমকেছেন সেখানে সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে গেছেন মীনাক্ষী। পরবর্তী সময় এসপি অফিসে ও পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু করে পুলিশকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মীনাক্ষী। ব্রিগেড সমাবেশের আগে খোদ বিমান বসুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ক্যাপ্টেনের ডাক ব্রিগেড যাবেন।