কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: রাজনীতি আমার জন্য নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ৷ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ৷ সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফার কথা জানান মিমি ৷ যদিও অভিনেত্রী-সাংসদের এই সিদ্ধান্ত দলনেত্রী তা গ্রহণ করেননি বলে জানা গিয়েছে ৷
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মিমি বলেন, "রাজনীতি আমার জন্য না, এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কিছু বাজে কাজ করতাম বা করেছি তাহলে তো আপনারাই সবার আগে দেখাতেন। আমি নিজের দল তো ছেড়েই দিন অন্য দলকে নিয়েও কখনও খারাপ কথা বলিনি। তাহলে আমাকে কেন এত খারাপ কথা শুনতে হবে। আমি দিল্লিতে থাকলে বলা হয় সাংসদ তো দিল্লিতেই থাকেন আবার কলকাতায় থাকলে বলা হবে আমি তো দিল্লিতেই যাই না। তাহলে সাংসদ করে লাভ কী হলো।"
অভিনেত্রী আরও বলেন, "আমি আজ এখানে কাজ গোনাতে আসিনি। আমার এমপি ল্যাড ইউটিলাইজেশনে কার নাম নম্বর ওয়ানে আছে দেখে নিন। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে খুব ভালোবাসেন। স্নেহ করেন। আমি দুই দিন আগে আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দিদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু উনি এখনও সেটা অ্যাকসেপ্ট করেন নি। আমার যে অভিযোগ ছিলো সেটা আমি দিদিকে জানিয়েছি। দেখি উনি কি স্টেপ নেন। কাদের কাছ থেকে বাধা পেয়েছি, সেটা আমার দলের সুপ্রিমোকে জানিয়েছি। যে দল আমাকে প্রার্থী করেছে তাই আমি দলের সুপ্রিমোকেই আগে জানিয়েছি। উনি অ্যাকসেপ্ট করলে আমি লোকসভার স্পিকারকে পাঠিয়ে দেবো। দলের সদস্যপদ এখনও রয়েছে। আইনত রাজনীতি থেকে সরতে গেলে যা যা করার সেটা আমি করেছি। আমি প্রার্থী হতে চাই না ।"
উল্লেখ্য, সোমবার মিমি চক্রবর্তী ভাঙড়ের 2 নম্বর ব্লকের নলমুড়ি ব্লক হাসপাতাল ও জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছিলেন ৷ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা তৈরি হয় ৷ এরপর মঙ্গলবার সংসদের দু'টি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকেও ইস্তফা দেওয়ার খবর সামনে আসে ৷ সূত্রের খবর, এরপরেই মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনা এবং আশঙ্কার নিষ্পত্তি তৈরি হয়েছিল তা নিষ্পত্তি করতেই নাকি তাঁকে ডেকে পাঠান দলনেত্রী ।