পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রে সরকার গড়লে তার রাশ হাতে রাখতে তৃণমূলের আরও শক্তিবৃদ্ধি প্রয়োজন, মন্তব্য কুণালের - Kunal Ghosh

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 17, 2024, 2:25 PM IST

Kunal Ghosh: মঙ্গলবার জোড়াসাঁকোতে তৃণমূলের তরফে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করা হয় ৷ সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ তিনি জানান, তৃণমূলের আরও শক্তিবৃদ্ধি প্রয়োজন ৷ ‘ইন্ডিয়া’ কেন্দ্রে সরকার গড়লে তার রাশ হাতে রাখতে, এই শক্তিবৃদ্ধির দরকার আছে বলে তিনি মনে করেন ৷

Kunal Ghosh
উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোয় তৃণমূলের সভায় কুণাল ঘোষ৷ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 17 জুলাই: বিজেপি বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ যদি কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারে, তাহলে সেই সরকারের রাশ হাতে রাখার মতো শক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে থাকতে হবে ৷ তাই এখন থেকেই তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি প্রয়োজন ৷ এমনটাই মনে করেন শাসক দলের অন্যতম নেতা কুণাল ঘোষ ৷

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই সভায় হাজির হয়ে এই কথা বলেন কুণাল ৷ তাঁর কথায়, ‘‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছে কেন্দ্রের এই সরকার বেশিদিন টিকবে না । খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে । বাংলার বুকে তৃণমূল কংগ্রেসকে এমনভাবে শক্তিশালী করে তুলতে হবে যাতে ইন্ডিয়া সরকার করলে সেই সরকারের রাশ থাকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের হাতে ।’’

কিভাবে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, সেই উপায়ও ওই সভার মঞ্চ থেকে বলে দেন কুণাল ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে । যেখানে দুর্বল সংগঠন আছে, তা যেমন শক্তিশালী করা আমাদের প্রধান কাজ, একইভাবে যেখানে সংগঠন শক্তিশালী, সেখানে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে হবে ।’’

উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোয় তৃণমূলের সভায় কুণাল ঘোষ৷ (নিজস্ব চিত্র)

একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দলের একটাই নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । যার একজন নেত্রী তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেনাপতির নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আমাদের তাঁদের সামনে রেখেই লড়াই করতে হবে ।’’

এ দিন জোড়াসাঁকোয় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজক ছিলেন এলাকার বিধায়ক বিবেক গুপ্ত । আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ প্রমুখ । যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের কর্মসূচি থাকার কারণে প্রথম অবস্থায় এই সভায় আসতে পারবেন না বলেছিলেন কুণাল । তবে শেষ মুহূর্তে সেখানে পৌঁছে যান তিনি ।

অন্যদিকে কলকাতা উত্তরের সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন এই অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি । আমন্ত্রিত হলেও অন্য কর্মসূচি থাকায় উপস্থিত হননি শশী পাঁজা । কাজেই প্রস্তুতি সভায় কুণাল ঘোষকেই পাওয়া গেল মধ্যমণি হিসাবে ।

উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোয় তৃণমূলের সভায় কুণাল ঘোষ৷ (নিজস্ব চিত্র)

তৃণমূলের বিধায়ক বিবেক গুপ্তা কুণাল ঘোষকে পাগড়ি ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন । সেখানে কুণাল ঘোষ একুশে জুলাইয়ের সভায় সবাইকে যাওয়ার জন্য আহ্বানও জানান ৷ তিনি বলেন, ‘‘সারা বাংলা থেকে মানুষ আসছে । একুশে জুলাই ড্রোন উড়বে আকাশে । বঙ্গোপসাগর আর মানুষের সাগরকে আলাদা করতে পারবেন না কেউ । এবারের একুশে জুলাই একদিকে যেমন শহিদ তর্পণের অনুষ্ঠান হবে ধর্মতলায় । একই সঙ্গে 24-এর লোকসভা নির্বাচনের বিপুল জয়কে আমরা একুশের শহিদ ও বাংলার মা-মাটি-মানুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করব সেই দিন । তাই আপনাদেরও সবাইকে আসতে হবে ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে । যেখানে দুর্বল সংগঠন আছে, তা যেমন শক্তিশালী করা আমাদের প্রধান কাজ, একইভাবে যেখানে সংগঠন শক্তিশালী, সেখানে নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে হবে ।’’ এ দিন তিনি তৃণমূল কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দলের একটাই নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস । যার একজন নেত্রী তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেনাপতির নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আমাদের তাঁদের সামনে রেখেই লড়াই করতে হবে ।’’

বিজেপিকে কটাক্ষ করে ওই সভা থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি নাটক করতে গিয়েছিল রাজভবনে । তারা বলেছে বাই ইলেকশনে নাকি ভোট হয়নি । রাজ্যের তিনটি আসন বিজেপির ছিল । একটা ছিল তৃণমূলের । শুধু মানিকতলাতেই ওরা হেরেছে 63 হাজারে । অথচ একটা মানুষও রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলতে পারেননি তাঁরা তাঁদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি । আর এখন ওরা নাটক করছে ।’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details