পটনা, 29 মার্চ: বিহারে 40টি লোকসভা আসনের মধ্যে 9টিতে লড়াই করবে কংগ্রেস ৷ ওই রাজ্যে শরিক আরজেডি-র সঙ্গে তাদের যে আসন সমঝোতাতেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে ৷ কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এই ন’টি আসনের মধ্যে নেই পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টি ৷ যদিও এই দু’টি আসন কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল ৷ তাই এখানে দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত ৷
পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টিকে কংগ্রেস নিজেদের শক্তঘাঁটি বলে মনে করে ৷ সেই কারণে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বিহারের এই দুই অংশ ছুঁয়ে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি জন অধিকার পার্টির নেতা রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব কংগ্রেসে যোগদান করেছেন ৷ তাঁকেই পূর্ণিয়া থেকে প্রার্থী করতে চায় কংগ্রেস ৷ ওই আসনে লড়াইয়ের জমি পাপ্পু যাদব অনেকদিন ধরেই তৈরি করছিলেন ৷ তাঁকে সেখান থেকে লড়ার প্রস্তাব দিয়ে আরজেডি-তে যোগদান করাতে চেয়েছিলেন তেজস্বী-লালুরা ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি যোগ দেন রাহুল গান্ধির দলে ৷
এর পর আরজেডি ওই কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হচ্ছে না৷ বরং তারা চায় সেখানে জেডিইউ-এর প্রাক্তন বিধায়ক বিমা ভারতীকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে ৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দ্বিধায় রয়েছে ৷ তারা বুঝতে পারছে না যে পূর্ণিয়া আসনটি আরজেডি-কে ছেড়ে দেওয়া উচিত, নাকি সেখানে পাপ্পু যাদবকে প্রার্থী করে লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করা উচিত ! কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে, আরজেডি-কে পূর্ণিয়া ছেড়ে দিলে জোট মজবুত হবে ৷ সেক্ষেত্রে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে ৷
বিহার বিধান পরিষদের সদস্য কংগ্রেসের শাকিল আহমেদ খান ইটিভি ভারত-কে বলেন, “পূর্ণিয়ার আমাদের কাছে থাকা উচিত । আমদের সেখানে একটি খুব ভালো সমর্থন এবং বিজয়ী প্রার্থী আছে ৷ সেখানে ভারত ন্যায় সমাবেশ ছিল আমাদের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমাবেশ । এটা রাজ্যে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য ছিল ৷”