কলকাতা, 3 মার্চ: পদ থেকে অবসরের আগেই ইস্তফার কথা একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপশি তিনি বৃহত্তর ক্ষেত্রে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর জন্য দরজা খোলা রাখার ইঙ্গিত দিল সিপিএম ।
তিনি কি বামেদের হাত ধরতে পারেন? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সিপিএমের এক প্রবীণ নেতা বলেন, "আমরা এই সম্পর্কে কিছুই জানি না। ওঁর কর্মকাণ্ড সম্প্রতি যা দেখা গিয়েছে তাতে উনি জনমানুষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ৷ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ৷ ইতিবাচক ভাবমূর্তি তাঁর। উনি যদি রাজনীতির আঙিনায় আমাদের দলীয় চিহ্নে লড়াই করতে চান সেক্ষেত্রে ওঁর যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সম্মান তাতে দল বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই বিবেচনা করবে। এমন হতে পারে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন ৷ আবার দলীয় প্রতীকও পেতে পারেন ৷ সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে বিশেষ ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করে তাঁকে পার্টির সদস্যপদ দেওয়া যেতে পারে ৷
সিপিএম সূত্রে খবর, অতীতেও পার্টি সদস্য নন তবে বিধানসভা ভোটে লড়ে জিতেছেন এমন ঘটনা আছে। দু'টি নাম অনায়াসে বলা যেতে পারে ৷ একজন বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায় যিনি 1993 সালে চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত নির্দল প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়যুক্ত হয়েছিলেন। অপরজন হলেন বিখ্যাত গায়ক অজিত পাণ্ডে ৷ তিনিও বউবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক হয়েছিলেন। তবে আরও একটি সূত্রের দাবি, উনি বামপন্থী দলের হয়ে লোকসভায় দাঁড়াবেন এমন নাও হতে পারে। একই ভাবে বিজেপির হয়েও না দাঁড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে সব পক্ষের ভোট প্রার্থনা করতে পারেন। তবে সিপিএম তাঁকে ভালো চোখেই দেখছে। ওঁনার মত পণ্ডিত মানুষের রাজনীতিতে আসা দরকার বলে মনে করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চলতি বছরের অগস্ট মাসে অবসর গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তার আগেই তিনি অবসর নিচ্ছেন বলে একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফা দেওয়ার খবর লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতির আঙিনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতায় আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ৷ এর মধ্যেই যে কোনওদিন লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা। তার আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতির মঞ্চে পা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ আলোড়ন ফেলেছে ৷