ব্যারাকপুর, 29 জানুয়ারি: দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে আবারও পথে নামল বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সন্ধ্যায় টিটাগড় থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। চলে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও। এই কর্মসূচিতেও নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন, দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনি পাত্রও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে বিজেপির এই অবরোধ কর্মসূচি। সপ্তাহের প্রথম দিনে গেরুয়া শিবিরের এই আন্দোলন ঘিরে চিড়িয়া মোড় সংলগ্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় পথচলতি সাধারণ মানুষকে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ফিরে সোমবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পালটা আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে পুলিশের দিকে ইটবৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে।সূত্রের খবর, লাঠিচার্জে গেরুয়া শিবিরের বহু কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। পালটা ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও ৷ অশান্তি এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। যদিও গোটা ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দুপুরের ঘটনার পর এদিন বিকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে টিটাগড় থানায় ধরনা কর্মসূচিতে অংশ নেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেও চলে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং স্লোগান। এরপর ধরনা কর্মসূচি উঠে গেলেও থানার সামনের রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। চলে রাস্তা অবরোধও। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। এখনও পর্যন্ত পুলিশের লাঠিচার্জে 10 জন মহিলা এবং 13 জন পুরুষ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। যতক্ষণ এর কোনও সুরাহা হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা ৷"