কলকাতা, 18 এপ্রিল: একদা যে তাজা নেতার প্রশংসা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখে করতেন, সেই আরাবুল ইসলামকে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে দলের আহ্বায়ক পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ৷ বর্তমানে আরাবুলের ঠিকানা সংশোধনাগার ৷ একটি খুন ও তোলাবাজির মামলায় কারাগারে বন্দি একদা ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা ৷ আর তারই মধ্যে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে ৷ যার পরে তৃণমূলে আরাবুলের পরিচয় একজন সাধারণ সদস্য ৷
কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ? সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছিল ভাঙড়ে ক্রমশই মাটি হারাচ্ছিলেন আরাবুল ইসলাম ৷ আইএসএফের উত্থানের ফলে একটা সময় যে ভাঙড়ে এই বাহুবলী নেতার দাপট ছিল, তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল ৷ শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁকে আহ্বায়ক করেছিল তৃণমূল ৷ কিন্তু, এবার সেই পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আরাবুলকে ৷ ফলে সদস্য পদ ব্যতীত তৃণমূলের অন্য কোনও পদে এই মুহূর্তে নেই তিনি ৷ আর এর থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয়ে ভোটের কাজের দায়িত্ব কার উপর বর্তাবে ?
কী এমন ঘটল, যার কারণে আরাবুল ইসলামের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ভরা ভোটের মরশুমে সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ! বিষয়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ৷ যদিও, এ নিয়ে দলের ছোট-বড় কোনও নেতাই মুখে রা কাড়ছেন না ৷ তবে সূত্রের খবর, এর পিছনে আরাবুলের স্ত্রী জাহানারা বিবির পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার বিষয়টি অনুঘটকের কাজ করেছে ৷