কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: দলীয় বৈঠকে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ টাকিতে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সন্দেশখালি দিতে গিয়ে আহত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। তা নিয়ে রাজ্যে রাজনীতি ইতিমধ্যেই উত্তাল। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার অনুমোদনক্রমে এই অভিযোগ নিয়ে সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে রাজ্যের তিন পুলিশকর্তাকে। এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক দলের সাংসদ তাই সক্রিয় স্বাধিকার রক্ষা কমিটি, কেন বিরোধী দলের সংসদের আক্রান্ত হলে নীরব থাকে তারা ? শুক্রবার দলের নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক যা বলেছেন তার মর্মার্থ এটাই।
বুধবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এই ঘটনায় পরে দেখা যায় অসুস্থও হয়ে পড়েছেন সুকান্ত। এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ পাঁচ পদস্থ কর্তাকে 19 ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে তলব করেছে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। তার প্রতিবাদে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পা পিছলে পড়ে গেলেন। তার জন্য সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি ডেকে পাঠাচ্ছেন আমাদের রাজ্যের আধিকারিকদের। আমাকে, মহুয়া মৈত্র, শান্তনু সেন, বীরবাহাকে যখন মারা হল তখন স্বাধিকার রক্ষা কমিটি কোথায় ছিল ?"
এদিন গতবছর দুই ও তিন অক্টোবর 100 দিনের কর্মীদের টাকার দাবিতে দিল্লিতে কর্মসূচি নিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। সে সময় তৃণমূলের নেতা-কর্মী সাংসদেরা তিন ঘণ্টা ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করলেও তিনি দেখা করেননি বলে অভিযোগ। এই সময় অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, মন্ত্রীরা ধর্ণায় বসলে পুলিশ লাঠি পেটা করে তাদের থানায় নিয়ে যায় বলেও তৃণমূলের অভিযোগ। সে সময় প্রবীণ সাংসদদেরও কিন্তু রেয়াত করা হয়নি। এদিন সে প্রসঙ্গেরই অবতারণা করেছেন অভিষেক।
তাঁর অভিযোগ এক্ষেত্রে তিনি তুলে ধরেন প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করছে এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কারণেই সরব হয়েছেন তিনি। অভিষেক এহেন অভিযোগ করলেও স্বাধীকার রক্ষা কমিটির ভূমিকায় কোন দোষ দেখছেন না বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "লোকসভার অধ্যক্ষ সাংসদদের অভিভাবক। টাকিতে যে আচরণ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে করা হয়েছে। তিনি পড়ে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে গিয়েছেন এই সময় যেভাবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কলকাতায় রেফার করার পরেও যেভাবে দেরি করা হয়েছে, তাতে যে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। সেটা দেখার দায়িত্ব নিঃসন্দেহে স্পিকারের উপর বর্তায়। এক্ষেত্রে তিনি মনে করেছেন তাই তিনি ডেকেছেন।"