নয়াদিল্লি, 19 জুলাই:মোদি 3.0 এর প্রথম বাজেট সম্পর্কে দারুণ আশাবাদী দেশের স্টার্টআপগুলি ৷ কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই তাঁর প্রথম মেয়াদে ভারতীয় উদ্যোগপতিদের জন্য স্টার্টআপ ইন্ডিয়া অ্যান্ড স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া প্রকল্প চালু করেছিলেন । সরকার বছরের পর বছর ধরে স্টার্টআপের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করলেও অ্যাঞ্জেল ট্যাক্সের বিতর্কিত সমস্যা উদ্যোগপতি এবং স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের তাড়িত করে চলেছে । স্টার্টআপগুলি 1961 সালের আয়কর আইনের ধারা 56(2)(viib)-এর অধীনে আরোপিত এই ট্যাক্সের বিলুপ্তি বা সম্পূর্ণ সংশোধনের দাবি করছে । এই করটি এতটাই বিতর্কিত যে, বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ এবং উদ্যোগপতি এই বছরের বাজেটের আগে এই কর অপসারণের দাবিতে জোরালো সওয়াল করেছেন ৷
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে নোডাল সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি অ্যান্ড প্রোমোশন (ডিপিআইআইটি) সরকারি প্রকল্পগুলির অধীনে কর সুবিধাগুলি পেতে স্টার্টআপগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই বাজেটে স্টার্টআপগুলির উপর অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স বাতিল করার জন্য অর্থ মন্ত্রকের কাছে আহ্বান জানিয়েছে । ডিপিআইআইটি-ও উদ্বিগ্ন, কারণ এই বছরের প্রথম ছয় মাসে স্টার্টআপগুলির জন্য তহবিল প্রায় চার শতাংশ কমে 5 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে ।
স্টার্টআপে অ্যাঞ্জেল কর কী ?
এই বিতর্কিত করের ইতিহাস 2012 সাল থেকে শুরু হয় যখন সরকার ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্টের 56(2)(viib) ধারার অধীনে একটি কর প্রবর্তন করেছিল ৷ অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করা তালিকার বাইরের স্টার্টআপের বিনিয়োগ মূল্য যদি স্টার্টআপ কোম্পানির স্টকের বাজার মূল্যের থেকে বেশি হত, তাহলে সেই স্টার্টআপের উপর এই কর বসানো হত ৷ ফলস্বরূপ, অ্যাসেসিং অফিসারের দ্বারা নির্ধারিত ন্যায্য বাজার মূল্যকে ছাড়িয়ে গেলে একটি স্টার্টআপের মূল্যকে আয় হিসাবে গণ্য করা হয় এবং 30 শতাংশ হারে কর বসানো হয় ।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একদল প্রতিষ্ঠাতা একটি নতুন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি চালু করেন, যার অনুমোদিত শেয়ার মূলধন 1 লাখ টাকা এবং সম্পূর্ণ শেয়ার মূলধন তাঁদের দ্বারাই ইস্যু করা হয়, সাবস্ক্রাইব করা হয় এবং প্রতিটি 10 টাকার ফেস ভ্যালুর আকারে পরিশোধ করা হয় । এর অর্থ হল 10,000 শেয়ার যার প্রতিটির ফেস ভ্যালু 10 টাকা ।
তারপর এই স্টার্টআপ একটি নতুন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির আকারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের অভিনব ব্যবসায়িক ধারণা বা কিছু উদ্ভাবন বা সদিচ্ছা বা কিছু প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা অন্য কিছু অস্পষ্ট সম্পদের কারণে একজন বিনিয়োগকারীকে নিয়ে আসে এবং বিনিয়োগকারী এর প্রতি ইচ্ছুক হয় । স্টার্টআপে 20 কোটি টাকার মূল্যের 10 শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করতে পারলে মোট স্টার্টআপের মূল্য হবে 200 কোটি টাকা ।
এর অর্থ হল বিনিয়োগকারী কোম্পানির একটি 10 টাকার শেয়ার কিনবে 2,000 টাকায়, এর ফেসভ্যালুর উপর 1990 টাকা বেশি ৷
এই ধরনের পরিস্থিতিতে, একজন আয়কর কর্মকর্তা ধারা 56(2)(viib) এর অধীনে 30 শতাংশ হারে আয়কর ধার্য করার প্রবণতা দেখান, প্রিমিয়ামকে বিনিয়োগের পরিবর্তে আয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ স্পষ্টতই বিনিয়োগটি ন্যায্য বাজার মূল্যের থেকে বেশি ।