পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / opinion

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে হামলা দু'দেশের মধ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে - China Pakistan Economic Corridor - CHINA PAKISTAN ECONOMIC CORRIDOR

Attacks on the CPEC: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে হামলা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে ৷ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) এর সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থা এবং শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে ৷ বিষয়টি সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল হর্ষ কাকর।

Attacks on the CPEC
Attacks on the CPEC

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 3, 2024, 10:01 AM IST

Updated : Apr 3, 2024, 10:36 AM IST

হায়দরাবাদ, 3 এপ্রিল: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) নির্মেয়মান প্রকল্পে এবং শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং দূরত্ব বাড়িয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে গোয়াদরে হামলা (চিনাদের নির্মিত) এবং তুরবাতে পাকিস্তানের নৌ ঘাঁটি, পাশাপাশি ওই দেশের উত্তর-পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) একটি জেলা শাংলায় চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের উপর বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) আত্মঘাতী হামলা । হামলার সময় চিনা ইঞ্জিনিয়াররা ইসলামাবাদ থেকে দাসুতে হাইডেল পাওয়ার প্রজেক্টের কাজে যাচ্ছিলেন ।

আত্মঘাতী হামলায় 5 চিনা ইঞ্জিনিয়ার আর তাদের স্থানীয় গাড়ির চালকরা নিহত হয় । গোয়াদর ও তুর্বতে হামলার দায় বিএলএ স্বীকার করলেও, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী চিনাদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেনি । পাকিস্তানের জন্য, সবচেয়ে গুরুতর ঘটনাটি ছিল চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের উপর হামলা ৷ কারণ, এই হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং ৷ চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের নিশানা করায় বেজিং থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া মেলে । পাকিস্তানে চিনা নাগরিকদের প্রতিনিয়ত টার্গেট করা হচ্ছে ।

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে হামলা দু'দেশের মধ্যে অস্বস্তি বাড়িয়েছে

খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) শাংলায় এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে চিন ৷ বেইজিংয়ে চিনা মুখপাত্র বলেন, 'সিপিইসিতে অন্তর্ঘাতের কোনও চেষ্টা কখনওই সফল হবে না ।' এই ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদে চিনা দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি কমানোর আশায় শোক প্রকাশ করেন ।

প্রত্যাশিত ভাবেই, পাকিস্তান এই হামলার জন্য দায়ী বলে 'চিন-পাক বন্ধুত্ব বিরোধী'দেরই দায়ী করেছে । পাকিস্তানের সেনা একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, 'কিছু বিদেশী শক্তি তাদের স্বার্থে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদে সহায়তা ও মদত দিচ্ছে ।' এই হামলায় পাক সেনা আফগান তালেবান দ্বারা সমর্থিত একটি জঙ্গি গোষ্ঠী টিটিপির (তেহরীক-ই-তালেবান পাকিস্তান) রিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ৷ যদিও টিটিপি এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে ।

সম্প্রতি, পাকিস্তান দাবি করেছে যে, টিটিপি কাবুলের মাধ্যমে ভারতের সমর্থন পাচ্ছে ৷ চিন-ভারত সম্পর্কের অচলাবস্থার কথা মাথায় রেখে এই হামলায় ভারতের পরোক্ষ যোগের ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান । হামলার প্রভাব ইতিমধ্যেই অনুভূত হচ্ছে । ইতিমধ্যেই চিনা গোয়েন্দারা এই হামলার তদন্তে যোগ দিয়েছে ৷ এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে পাকিস্তানের উপর তেমন আস্থা নেই চিনের । চিনা কোম্পানিগুলি দাসু বাঁধ, দিয়ামার-বাশা বাঁধ এবং তারবেলা পঞ্চম এক্সটেনশনে কাজ স্থগিত করেছে ৷ এর পাশাপাশি, হাজার হাজার স্থানীয় শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে ।

এই হামলার পর সিপিইসি প্রকল্পে নিযুক্ত চিনা নাগরিকরা নড়েচড়ে বসেছে এবং অনেকেই ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছে । 2021 সালের জুলাই মাসে দাসু প্রকল্পে নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের উপর হামলায় 9 জন নিহত হওয়ার পরে চিনা শ্রমিকদের কাজ ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে । এই হামলার পর দাসু প্রকল্পে চিনা কর্মীদের ফিরে এসে ফের কাজে যোগ দিতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল ।

চিন বারবার পাকিস্তানে কর্মরত তাদের নাগরিকদের জন্য বাড়তি সুরক্ষার দাবি জানিয়ে এসেছে । 2021 সালে, চিন তার 9 জন নিহত ইঞ্জিনিয়ারের জন্য 38 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল, যা দেওয়া আসলে ইসলামাবাদের সামর্থের বাইরে ছিল । পাকিস্তান এই ক্ষতিপূরণের অংক পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল ৷ যদিও চূড়ান্ত ক্ষতিপূরণের অংক অজানাই রয়ে গিয়েছে ।

2023 সালের এপ্রিলে, একজন চিনা ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ আনা হয়েছিল । তাকে পুলিশ উদ্ধার করে পরে দেশে ফেরত পাঠায় । গত বছরের অগস্টে ২৩ জন চিনা ইঞ্জিনিয়ার বহনকারী একটি বাসে হামলা চালানো হয় । এই হামলা পাক সেনারা প্রতিহত করে, ফলে কোনও চিনা নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি । এর আগে 2021 সালে, কোয়েটার একটি হোটেল, যেখানে চিনা রাষ্ট্রদূতের থাকার ব্যবস্থা হবে বলে আশা করা হয়েছিল, সেখানে জঙ্গি হামলা চালানো হয় । তবে ঘটনাচক্রে চিনা রাষ্ট্রদূত তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না । এক মাস পর একটি বাসে আত্মঘাতী বোমার হামলায় করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিনের তৈরি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের 3 জন চিনা কর্মীর মৃত্যু হয় । এই সব ঘটনায় প্রতিবারই চিন এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেছে ।

এই সব ঘটনায় পাকসেনারা বিনা বিচারে স্থানীয়দের তুলে নিয়ে যায় এবং জেলে বন্দি করে তাদের উপর নানা ভাবে চাপসৃষ্টি করে স্বীকারোক্তি আদায় করে । পাকিস্তান বরাবরই চিনাদের ওপর হামলার পিছনে বিদেশি শক্তি যোগের ইঙ্গিত দিয়েছে । প্রতিবারই বেইজিং তার নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় আটকে পড়ে । তবে তা সত্ত্বেও সিপিইসি ছাড়তে পারে না ৷ কারণ, চিন এই প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে যা তার বিআরআই (বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভ) এর মূল অংশ । তাই, সমস্ত ক্ষতি এবং হামলার ঘটনা সত্ত্বেও, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে 'তোতা নৈকট্য' অব্যাহত রাখে । পাশাপাশি, পাকিস্তানের ঋণ শোধ করার সামর্থ নেই এমনটাই মনে করে বাধ্য হয়েই চিনা প্রকল্পগুলি শামুকের গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে । আমেরিকা-সহ তার বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর কাছ থেকে পাকিস্তান এই দিক থেকে কিছুটা সহানুভূতি পেয়েছে ।

ফলে এই হামলার জেরে চিন আবারও সিপিইসি প্রকল্পে কাজ করা তার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সেনা নিয়োগের জন্য জোর দেবে । এই ধরনের দাবি মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে পাকিস্তানের খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে ৷ কারণ, নিজেদের সুরক্ষায় নিয়োজিত চিনা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য তখন টাকা খরচ করতে হবে পাকিস্তানকেই । শুধু তাই নয়, চিনের এই দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ, পাকসেনাবাহিনী তাদের নিজের দেশের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করতে অক্ষম, সেই বিষয়টিতে পরোক্ষ সম্মতি দেওয়া ।

এদিকে পাকিস্তানের মাটিতে চিনা সেনা মোতায়েন পাক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করবে ৷ কারণ, এর ফলে পিএলএ চিনের সামরিক ঘাঁটিতে পরিনত হবে ।ইসলামাবাদের শর্তাবলী পূরণের ক্ষেত্রে চাপ বাড়াতে বেজিং ফের ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাকিস্তানের সামর্থের বাইরে থাকা মোটা অংকের অর্থ দাবি করবে ।

শীঘ্রই নিজের প্রথম সরকারি সফরে বেজিংয়ে যাবেন শাহবাজ শরীফ । যদিও তাঁর সফরের তারিখগুলি এখনও ঘোষণা করা হয়নি । এই সফরের ফলে বেজিংয়ের শর্তগুলিতে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলি মেনে নেওয়ার জন্য জোরালো চাপ সৃষ্টি করবে, যা পাকিস্তানের পক্ষে মেনে নেওয়া বেশ কঠিন হতে পারে । অতিরিক্ত বিনিয়োগ এবং ঋণ পুনর্গঠনের জন্য শেহবাজের অনুরোধ নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাওয়ালপিন্ডির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে ।

পাকিস্তান এখনও নিজেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি অগ্রণী রাষ্ট্র বলে মনে করে ৷ পাক সেনাবাহিনীর দাবি, 'সম্ভবত তারাই একমাত্র দেশ যারা সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ দৃঢ়তা এবং পূর্ণ সংকল্পের সঙ্গে মোকাবিলা করছে ।' যদিও, পাকিস্তান একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে, যাকে তারা 'ভাল সন্ত্রাসবাদ' বলে উল্লেখ করে । এটি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন এবং সেখানকার মাটিতে পাক-বিরোধী গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলির প্রতি অন্ধ বিশ্বাস পাকিস্তানের সমস্ত প্রধান প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরান, আফগানিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট করেছে এবং ইরান ও আফগানিস্তানকে একটি পরিবর্তনে বাধ্য করেছে ।

চিন এবং সিপিইসি-র উপর পাকিস্তানের অত্যধিক নির্ভরশীলতা তার দুর্বলতা বাড়িয়েছে । ইসলামাবাদ দ্বারা শোষিত বেলুচিস্তান CPEC-এর প্রধান কেন্দ্র ৷ কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই এলাকাকে উপেক্ষা করা হয়েছে ৷ ফলে সেখানকার জনপদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে, যা বেলুচ স্বাধীনতা গোষ্ঠীর যোগদানে বিআরএস-কে (বেলুচ রাজি আজোই সাঙ্গার) মদত যোগাচ্ছে । ফলে বেলুচিস্তান এবং কেপি-সহ পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার বিশাল অংশ তেহরীক-ই-তালেবান পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে। সাম্প্রতিক কালে পাক সেনাঘাঁটিতে নিত্যদিনের বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলা পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়িয়েছে । সিপিইসি এই সব জঙ্গি হামলার একটি প্রধান লক্ষ্য ৷ কারণ, এতে চিনারা জড়িত৷ ফলে সিপিইসি-কে নিশানা করে এই সব হামলা পাক সেনাবাহিনীর উপরেও চাপ বাড়াচ্ছে । কারণ, এই হামলার জেরে অতিরিক্ত চিনা চাপও বাড়ছে পাকিস্তানের উপর । এছাড়াও, খাইবার পাখতুনখোয়ার স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন প্রকল্পগুলি পঞ্জাব এবং সিন্ধুর জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করার লক্ষ্যে চালিত হচ্ছে, তাদের জন্য নয় ।

দ্য ডন-এ মহম্মদ আমির রানা লিখেছেন, 'অনেকেই বিশ্বাস করেন যে বাঁধ এবং প্রশস্ত রাস্তা নগরায়ন, নারীমুক্তি এবং আধুনিকীকরণের সূত্রপাত করবে, যা তারা তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করেন ।' পাকিস্তানকে তার জনগণের মধ্যে সিপিইসি নির্মাণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আস্থা তৈরি করতে হবে৷ পাশাপাশি সে দেশের ভালো এবং খারাপ জঙ্গি নীতির পরিবর্তন করতে হবে এবং জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ভীতি দূর করতে হবে । এমনটা না করলে, পাকিস্তানের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী এবং সিপিইসি-র সঙ্গে জড়িত চিনা নাগরিকরা বারবার এই ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে ।

উল্লেখ্য, গোয়াদরে আরেকটি হামলায় আরও 2 জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে, পাক সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা টিটিপির প্রধান কমান্ডার-সহ শাংলায় চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের উপর হামলার ঘটনায় 10 জন জঙ্গি এবং সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করেছে । পাক সেনা জানিয়েছে, আত্মঘাতী হামলাকারীদের মধ্যে একজন আফগানী। সম্ভবত, এক্ষেত্রেও নিরপরাধদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং চাপ দিয়েই তাকে স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে । এক্ষেত্রে অভিপ্রায় সুস্পষ্ট এবং এটি আগেও একই রকম ছিল । পাকিস্তানের মূল নীতিই হল, চিনাদের সন্তুষ্ট করে চলা এবং ভারতের দিকে আঙুল তুলে কাবুলের উপর চাপ বাড়ানো । এটি আফগান নেতৃত্বের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না ৷ তবে এটি চিনাদের সন্তুষ্ট করবে কিনা সেটাই দেখার বিষয় ।

আরও পড়ুন:

অর্থনীতিতে চিনকে হেলায় হারাতে পারে ভারত, উপায় বাতলে দিলেন জয়শঙ্কর

সীমান্ত সমস্যা মেটানোর লক্ষ্যে বৈঠকে ভারত-চিন

পাকিস্তানে একের পর এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় চিনা নাগরিকের মৃত্যু, দেখুন একনজরে

Last Updated : Apr 3, 2024, 10:36 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details