দেইর আল-বালাহ (প্যালেস্তাইন), 11 অগস্ট: গাজায় একটি স্কুল তথা আশ্রয়কেন্দ্রে ইজরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে 80 জনের মৃত্যু হল ৷ আহত প্রায় 50 জন ৷ প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার ভোরের এই হামলা গত 10 মাস ধরে চলা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম ৷
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে, স্কুলের ভবনটির একটি মসজিদে নামাজের সময় ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান আঘাত হানে । রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মতে, 4 জুলাই থেকে ইজরায়েল নিয়মিত স্কুলের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে, যার ফলে অন্তত 21জন মহিলা ও শিশু-সহ কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ যুদ্ধের পরিস্থিতিতে অনেকের জন্য স্কুলগুলিই আশ্রয় খুঁজে পাওয়ার শেষ অবলম্বন ৷
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, তারা মধ্য গাজা শহরের তাবিন স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং বলে যে,তারা ওই স্কুলপ্রাঙ্গণের একটি মসজিদে হামাসের কমান্ড সেন্টারে আঘাত করেছে এবং সেখানে 19 জন হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন । হামাসের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা দাবি করেছে যে, ওই স্কুলে কোনও জঙ্গি ছিল না ৷
প্রত্যক্ষদর্শী আবু আনাসের মতে, সূর্যোদয়ের আগে লোকেরা প্রার্থনা করার সময় আচমকা বিমান আঘাত হানে ৷ সিভিল ডিফেন্স ফার্স্ট রেসপন্সারের একজন মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, মসজিদের প্রথম তলায় থাকা দোতলা ভবনে তিনটি মিসাইল আছড়ে পড়ে ৷ দ্বিতীয় তলে একটি স্কুল ছিল, যেখানে প্রায় 6,000 জন বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷ তাঁরা হামাস-চালিত সরকারের অধীনে কাজ করেন ৷
রাষ্ট্রসংঘ আগে বলেছিল যে, 6 জুলাই পর্যন্ত গাজার 564টি স্কুলের মধ্যে 477টি যুদ্ধে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ৷ বাস্তুচ্যুতদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইজরায়েলের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল স্কুলগুলিতে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "এই গণহত্যার কোনও যৌক্তিকতা নেই ৷"