ETV Bharat / sports

জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের 10 দিন ! মাটিতে শুয়ে জাতীয় গেমসে গেল বাংলা খো-খো দল - BENGAL KHO KHO TEAM

36 জনের দলের ছ’জনের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে । বাকিরা আরএসিতে গিয়েছে । সব মিলিয়ে জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণে ট্রেনের ‘টিকিট চাপানউতোর’ শুরু হয়ে গিয়েছে ।

Bengal Kho Kho Team
মাটিতে শুয়ে জাতীয় গেমসে গেল বাংলা খো-খো দল (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Jan 28, 2025, 9:13 PM IST

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: উত্তরাখণ্ডে বসেছে জাতীয় গেমসের আসর । সেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে টিকিট বিভ্রাট বাংলা দলকে ঘিরে । ধাপে ধাপে বাংলা দল উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে । শনিবারই বাঘ এক্সপ্রেস করে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বাংলা দল । উত্তরাখণ্ডের ট্রেন যাত্রা প্রায় টানা 36 ঘণ্টার । অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ এই পথ ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরাতেই যেতে হল বাংলার খেলোয়াড়দের । বিশেষ করে মহিলা খো-খো দলকে ।

তবে শুধু খো-খো দলই নয়, প্রায় গোটা বাংলা দলকেই বাঘ এক্সপ্রেসের অসংরিক্ষত কামরার মেঝেতে শুয়েই জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণের জন্য উত্তরাখণ্ড পৌঁছতে হল । অধিকাংশ খেলোয়াড়ের টিকিট সংরক্ষিত না-হওয়াতেই এমন বিপত্তির মুখে পড়তে হয় বাংলা দলের খেলোয়াড়দের । কিন্তু কেন এমন হল ? রাজ্য খো খো অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কল্যাণ চট্টোপাধ্যাায় জানিয়েছেন, “আমাদের 36 জনের দলের ছ’জনের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে । বাকিরা আরএসিতে গিয়েছে । দলটা বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের, কিন্তু তারা টিকিট কেটে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি । আমরা কম সময়ের নোটিশে যে ক’টা টিকিট পেয়েছি, তা নিয়েই দল রওনা হয়েছে ।’’

‘‘শুধু জার্সি এবং ট্র্যাক স্যুট দিলেই হয় না । জুতো নিয়ে তো আরও বড় কেলেঙ্কারি । 6 এবং 8 নম্বর জুতো দরকার ছিল । অথচ দেওয়া হল 10, 11, 12 নম্বর জুতো । বলা হয়েছে নিয়ে যা, বাবা-কাকাদের দিয়ে দিবি । এই কেলেঙ্কারির দায় তো অ্যাসোসিয়েশনের । সচিবকে নির্বাচন করা হয়েছে । দায় তো তাঁর । শুধু সংস্থা আলো করে বসে থাকলেই হবে না । দায়িত্ব নিতে হবে । শুধু আমাদের নয়, আইএফএ’র মহিলা দলও একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই গিয়েছে, খবর নিন । এভাবেই চলছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ।”


দেশের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া খো-খো বিশ্বকাপের দু’টি বিভাগেই ভারত বিশ্বসেরার সম্মান পেয়েছে । অথচ জাতীয় গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য খো-খো খেলোয়াড়দের এভাবে যেতে হবে ! যা দেখে হতাশ সকলে । উল্লেখ্য, সদ্য সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে । এবার জাতীয় গেমসের আগে বাংলার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ঘোষণা করা হয়েছিল, জাতীয় গেমসের আসরে পদক জিতলেই মিলবে সরকারি চাকরি । অথচ সেই জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণের জন্য বাংলা দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়কেই বাঘ এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরার মাটিতে শুয়েই যেতে হল । কোনওভাবে দায় এড়াতে পারেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কর্তারা ?

বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সচিব জহর দাস বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা চলছে । আমরা রেলের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম । ওনারা যথেষ্ট চাপে রয়েছেন । তবুও আমাদের তরফ থেকে রেলের কাছে যাদের পাঠাচ্ছি, তাঁদের প্রত্যেকের ব্যবস্থা ওনারা করে দিয়েছেন । চলতি বছর প্রত্যেক দলকে এসি-থ্রি টায়ারে যাওয়ার টিকিট করে দেওয়া হয়েছে । ফুটবল, সাঁতার, তিরন্দাজি দল ঠিকভাবেই পৌঁছে গিয়েছে । কিন্তু খো-খো অ্যাসিসিয়েশনের কর্তারা আমাদের কাছে কোনও অনুরোধ করেনি । সুতরাং আমাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে এখন লাভ নেই । আরএসি পদ্ধতিতেই রেল কর্তারা খেলোয়াড়দের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়েছেন ।’’ সব মিলিয়ে জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণে ট্রেনের ‘টিকিট চাপানউতোর’ শুরু হয়ে গিয়েছে ।

আরও পড়ুন

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: উত্তরাখণ্ডে বসেছে জাতীয় গেমসের আসর । সেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে টিকিট বিভ্রাট বাংলা দলকে ঘিরে । ধাপে ধাপে বাংলা দল উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে । শনিবারই বাঘ এক্সপ্রেস করে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বাংলা দল । উত্তরাখণ্ডের ট্রেন যাত্রা প্রায় টানা 36 ঘণ্টার । অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘ এই পথ ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরাতেই যেতে হল বাংলার খেলোয়াড়দের । বিশেষ করে মহিলা খো-খো দলকে ।

তবে শুধু খো-খো দলই নয়, প্রায় গোটা বাংলা দলকেই বাঘ এক্সপ্রেসের অসংরিক্ষত কামরার মেঝেতে শুয়েই জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণের জন্য উত্তরাখণ্ড পৌঁছতে হল । অধিকাংশ খেলোয়াড়ের টিকিট সংরক্ষিত না-হওয়াতেই এমন বিপত্তির মুখে পড়তে হয় বাংলা দলের খেলোয়াড়দের । কিন্তু কেন এমন হল ? রাজ্য খো খো অ্যাসোসিয়েশনের সচিব কল্যাণ চট্টোপাধ্যাায় জানিয়েছেন, “আমাদের 36 জনের দলের ছ’জনের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে । বাকিরা আরএসিতে গিয়েছে । দলটা বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের, কিন্তু তারা টিকিট কেটে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি । আমরা কম সময়ের নোটিশে যে ক’টা টিকিট পেয়েছি, তা নিয়েই দল রওনা হয়েছে ।’’

‘‘শুধু জার্সি এবং ট্র্যাক স্যুট দিলেই হয় না । জুতো নিয়ে তো আরও বড় কেলেঙ্কারি । 6 এবং 8 নম্বর জুতো দরকার ছিল । অথচ দেওয়া হল 10, 11, 12 নম্বর জুতো । বলা হয়েছে নিয়ে যা, বাবা-কাকাদের দিয়ে দিবি । এই কেলেঙ্কারির দায় তো অ্যাসোসিয়েশনের । সচিবকে নির্বাচন করা হয়েছে । দায় তো তাঁর । শুধু সংস্থা আলো করে বসে থাকলেই হবে না । দায়িত্ব নিতে হবে । শুধু আমাদের নয়, আইএফএ’র মহিলা দলও একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই গিয়েছে, খবর নিন । এভাবেই চলছে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ।”


দেশের মাটিতে সদ্য শেষ হওয়া খো-খো বিশ্বকাপের দু’টি বিভাগেই ভারত বিশ্বসেরার সম্মান পেয়েছে । অথচ জাতীয় গেমসে অংশ নেওয়ার জন্য খো-খো খেলোয়াড়দের এভাবে যেতে হবে ! যা দেখে হতাশ সকলে । উল্লেখ্য, সদ্য সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে । এবার জাতীয় গেমসের আগে বাংলার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ঘোষণা করা হয়েছিল, জাতীয় গেমসের আসরে পদক জিতলেই মিলবে সরকারি চাকরি । অথচ সেই জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণের জন্য বাংলা দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়কেই বাঘ এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরার মাটিতে শুয়েই যেতে হল । কোনওভাবে দায় এড়াতে পারেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কর্তারা ?

বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সচিব জহর দাস বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা চলছে । আমরা রেলের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম । ওনারা যথেষ্ট চাপে রয়েছেন । তবুও আমাদের তরফ থেকে রেলের কাছে যাদের পাঠাচ্ছি, তাঁদের প্রত্যেকের ব্যবস্থা ওনারা করে দিয়েছেন । চলতি বছর প্রত্যেক দলকে এসি-থ্রি টায়ারে যাওয়ার টিকিট করে দেওয়া হয়েছে । ফুটবল, সাঁতার, তিরন্দাজি দল ঠিকভাবেই পৌঁছে গিয়েছে । কিন্তু খো-খো অ্যাসিসিয়েশনের কর্তারা আমাদের কাছে কোনও অনুরোধ করেনি । সুতরাং আমাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে এখন লাভ নেই । আরএসি পদ্ধতিতেই রেল কর্তারা খেলোয়াড়দের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়েছেন ।’’ সব মিলিয়ে জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণে ট্রেনের ‘টিকিট চাপানউতোর’ শুরু হয়ে গিয়েছে ।

আরও পড়ুন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.