ঢাকা, 28 জানুয়ারি: ব্যর্থ হয়েছে বৈঠক ৷ অবশেষে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল বাংলাদেশের রেলকর্মীদের ইউনিয়ন ৷ দেশজুড়ে রেল ধর্মঘটের ফলে হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী, থমকে গিয়েছে মাল পরিবহণ ৷
উচ্চ পেনশন ব্যবস্থা-সহ একাধিক সুযোগ সুবিধার দাবিতে সোমবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রেল ইউনিয়নের সদস্যরা ৷ বৈঠক ফলপ্রসূ না-হওয়ায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা ৷ বাংলাদেশের রেল কর্মী ও শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি এই ইউনিয়নের সভাপতি সইদুর রহমান জানান, তাঁদের দাবি মানা না-হলে এই ধর্মঘট চলবে ৷
উল্লেখ্য, 17 কোটি জনসংখ্যার ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় 6 কোটি 50 লক্ষ যাত্রী রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করেন ৷ সে দেশের রেলকর্মীর সংখ্যা হল প্রায় 25 হাজার ৷ ঢাকার কমলাপুর স্টেশন সে দেশের ব্যস্ততম স্টেশনগুলির মধ্য়ে অন্যতম ৷ ফলে, রেল ধর্মঘটের কারণে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এই স্টেশনের নিত্যযাত্রীরা ৷
বাংলাদেশের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছন অন্তর্বর্তী সরকারের রেলের উপদেষ্টা ফউজল কবীর খান জানান, দেশজুড়ে এই ধর্মঘট মোটেই কাম্য নয় ৷ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানান ৷ সেই সঙ্গে তিনি জানান, আলোচনার পথ এখনও খোলা রয়েছে ৷ সুতরাং,ইউনিয়নের সদস্যরা চাইলে তাঁদের দাবি নিয়ে ফের আলোচনায় বসতে প্রস্তুত সরকার ৷
বাংলাদেশের বৃহত্তম বন্দরটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ৷ সেই এলাকা থেকে পোশাক শিল্পের জন্য পণ্য নিয়ে আসা যওয়ার জন্য মূলত রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করতে হয় ৷ এই শিল্পের মাধ্যমে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিতে বছরে প্রায় 3 হাজার 800 কোটি টাকার রফতানি করে বাংলাদেশ ৷ কূটনীতিকদের মতে শুধু যাত্রী দুর্ভোগ নয়, রেল ধর্মঘটের বিরূপ প্রভাব পড়তে চলেছে পোশাক শিল্পেও ৷