পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / international

পতনের মুখে জার্মানির জোট সরকার, অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন চ্যান্সেলর

সরকারের পতনের ইঙ্গিত পেতেই ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে সরিয়ে দিয়েছেন চ্যান্সেলর।

GERMANY CHANCELLOR FIRES FM
অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন চ্যান্সেলর (এপি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

বার্লিন, 7 নভেম্বর:জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করছেন চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ৷ বুধবার তিনি তাঁর অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্তের কথা ঘোষণা করেছেন ৷ কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন ৷ প্রো-বিজনেস পার্টির উপর নির্ভরশীল ক্ষমতাসীন তিন দলের জোট সরকার রয়েছে জার্মানিতে ৷ সেই সরকারের পতনের ইঙ্গিত পেতেই ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে সরিয়ে দিয়েছেন চ্যান্সেলর।

দেশের প্রায় রুগ্ন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উপায় নিয়ে জোট শরিকদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহের বিরোধের পরে স্কোলজ সাংবাদিক বৈঠক করে এই পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, আগামী জানুয়ারিতে আস্থা ভোটে যেতে চাইছেন তিনি ৷ সুতরাং, আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই দেশে আগাম নির্বাচন হতে পারে। চ্যান্সেলর বলেন, "আমাদের দেশের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে আমি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের একটি কার্যকর সরকার প্রয়োজন, যা আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখবে ৷"

অন্যদিকে, ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার তাঁর বরখাস্তের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন ৷ তাঁর মতে, "আমাদের দেশে একটি নতুন অর্থনৈতিক জাগরণের প্রয়োজনীয়তা মানতে ব্যর্থ হয়েছেন ওলাফ স্কোলজ। তিনি নাগরিকদের অর্থনৈতিক উদ্বেগকে হ্রাস করেছেন।" তিনি এও জানান, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চ্যান্সেলরের প্রস্তাবগুলি নিস্তেজ এবং অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী ৷ তাঁর কথায়, "আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মৌলিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কোনও অবদানই নেই তাঁর প্রস্তাবগুলিতে।"

চুপ থাকেননি ওলাফ স্কোলজও ৷ লিন্ডনার সম্পর্কে তিনি বলেন, "তিনি প্রায়ই আমার বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এমনকী তিনি একতরফাভাবে বাজেটের চুক্তিও বাতিল করেছেন। পরে আমরা দীর্ঘ আলোচনায় এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে একমত হয়েছি।" স্কোলজ আরও জানিয়েছেন, তিনি 15 জানুয়ারি জার্মানির পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে যাবেন ৷ পার্লামেন্টের সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারপর বোঝা যাবে আগাম নির্বাচন হবে কি না ৷ এরপরে নির্বাচন সংবিধানে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে সর্বশেষ মার্চের শেষের দিকে হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন। যদিও স্বাভাবিক সময়ে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর 2025-এ নির্বাচন নির্ধারিত রয়েছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details