নয়াদিল্লি, 15 জুন: এবছর চিন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের ত্রিপাক্ষিক সম্মেলন হচ্ছে সিওলে ৷ এই তিনটি দেশের মধ্যে এটি নবম ত্রিপাক্ষিক সম্মেলন এবং 2019 সালের পর আবার তিনটি দেশ একসঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ৷ চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল একটি যৌথভাবে একটি ডিক্লারেশন জারি করেছেন ৷ উত্তর-পূর্ব এশিয়া এবং কোরিয়ার আশপাশের অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিরতা বজায় রাখতে এই ডিক্লারেশনে 38টি পয়েন্টের উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই বৈঠকে চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আর্জি জানিয়েছে রক্ষণশীলতা দূরে রেখে মুক্ত বাণিজ্যকে উৎসাহিত ধরতে ৷
শিলংয়ে অবস্থিত এশিয়া বিষয়ের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ফেলো কে ইওহোম জানিয়েছেন, এই যৌথ ডিক্লারেশন অনুযায়ী তিনটি দেশ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাইছে ৷ যাতে প্রতিটি দেশ কিছু না কিছু উপকার পেতে পারে ৷ তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, "ওই অঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে চিন ও জাপান কূটনৈতিক পদক্ষেপ করছে ৷"
দক্ষিণ চিন সাগরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে রয়েছে ৷ তাইওয়ানের স্বাধীনতা এবং জাপানের উত্তর চিন সাগরে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের দাবি নিয়ে চিনের সঙ্গে ঝামেলা চলছে ৷ ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে হুমকি দিয়েছে ৷
তিনটি দেশের জারি করা যৌথ ডিক্লারেশন নিয়ে ইওহোম বলেন, "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিন ও আমেরিকার শত্রুতা বেড়ে চলেছে ৷ সেই প্রেক্ষাপটে এই ডিক্লারেশনটা পড়া দরকার ৷" ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে ৷ এদিকে আমেরিকাও ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বহু দেশের গোষ্ঠীতে যুক্ত রয়েছে ৷ তার মধ্যে অন্যতম কোয়াড ৷
ইওহোমের মতে, এই ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে টোকিও হয়তো বেজিংকে ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে জাপান যাই করুক না কেন তাতে চিনকে নিশানা করা হচ্ছে না ৷ তিনি বলেন, "টোকিও বলছে, তারা এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে বেজিং-এর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক ৷"
এদিকে এই সম্মেলনে চিনের ইস্যু তাইওয়ান ইস্যু ৷ তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে বারবার দেশের স্বাধীনতা নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷ নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর বেজিংও তাইওয়ানের চারদিকে বারবার জলপথে মহড়া দিয়েছে ৷ ইওহোম বলেন, "আবার তাইওয়ানে আমেরিকার উপস্থিতি যত বাড়ছে, ততই যেন চিন তার মতো করে জানাচ্ছে যে তারা কিন্তু এলাকায় কোনও সংঘাত চায় না ৷ ওই এলাকার দুজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা হল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ৷"