অটোয়া, 30 জানুয়ারি: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি ৷ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিল কানাডা কমিশনের একটি রিপোর্ট ৷
2023 সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয় এজেন্টরা ৷ তাঁর সেই অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিল কানাডা কমিশনের এই নয়া রিপোর্ট ৷ মঙ্গলবার 'পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফারেন্স ইন ফেডারেল ইলেক্টোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস' নামক রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ৷
কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দেশের গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলির উপর বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করে কমিশন ৷ এরপর রিপোর্ট প্রকাশিত করে ৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে বিদেশি রাষ্ট্রের জড়িত থাকার কোনওরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷ যার অর্থ ভারতের সঙ্গে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কোনও যোগসূত্র মেলেনি ৷
তবে ওই রিপোর্টে কমিশনার মেরি-জোসি হোগ বলেছেন, "বিভ্রান্তিমূলক তথ্যকে এখানে একটি প্রতিশোধমূলক কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্তগুলির জন্য হুমকির কারণ হতে পারে ।" অর্থাৎ ভারতের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, "হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় সন্দেহভাজন ভারতীয় জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পালটা ভারতের তরফে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে ৷ তবে রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিজ্জার হত্যকাণ্ডে বিদেশের যোগ নেই ৷
2023 সালের জুন মাসে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এই ঘটনার পর 2024 সালের অক্টোবরে ছয় জন ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের করে কানাডা । পালটা ভারতও ছয় কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ৷ নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর অভিযোগের পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কে চাপানোতর শুরু হয় । পরবর্তীকালে দুদেশের কূটনীতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয় ৷