কাজান (রাশিয়া), 24 অক্টোবর: মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৷ সীমান্তে চাপানোতরের পর পারস্পারিক সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে ব্রিকস সম্মেলনের মাঝেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা ৷ বুধবার দু'পক্ষই একমত হয়েছেন, ভারত ও চিন সম্পর্কের পরিপক্কতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল সম্পর্ক ধরে রাখবে ৷
সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত হওয়া কাম্য নয়, BRICS-এর মাঝে জিনপিংকে বার্তা মোদির
ব্রিকস সম্মেলনের মাঝেই বুধবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ৷
Published : Oct 24, 2024, 12:04 PM IST
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি মতপার্থক্য এবং বিরোধগুলির প্রভাব তাদের শান্তি প্রচেষ্টাকে যাতে কোনও ভাবে বিঘ্নিত না করে, তার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি জানিয়েছেন, দুই রাষ্ট্রনেতা উল্লেখ করেছেন, ভারত-চিন সীমান্ত প্রশ্নে বিশেষ প্রতিনিধিদের সমস্যার সমাধানে এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মোদি এবং জিনপিং বিশেষ প্রতিনিধিদের দ্রুত আলোচনা করার এবং তাদের প্রচেষ্টাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ৷ মিসরি বলেন, "আমরা একটি উপযুক্ত সময়ে প্রতিনিধিদের পরবর্তী বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করছি ৷"
বিদেশসচিব জানিয়েছেন, মোদি এবং জিনপিং কৌশলগত এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন ৷ তাঁরা দু'জনেই মনে করেন যে, দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তি, সমৃদ্ধির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মোদি এবং জিনপিং দু'জনেই জোর দিয়েছেন, প্রজ্ঞার সঙ্গে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে, ভারত ও চিন একটি শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক ধরে রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন মিসরি ৷ তিনি বলেন, "সীমান্ত এলাকায় শান্তি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ তৈরি হবে।" সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা আনুষ্ঠানিক আলোচনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কৌশলগত যোগাযোগ বাড়ানো এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বিষয়ে আলোচনার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন বিদেশসচিব ৷