ঢাকা, 17 ডিসেম্বর: বড়সড় স্বস্তি পেলেন মহম্মদ ইউনুস ৷ দেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে মান্যতা দিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট ৷ মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে আংশিক বাতিল করে আদালত নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারি ব্যবস্থাকে পুনঃস্থাপিত করল ৷
হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মেহবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে ৷ রায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি পড়ে শোনান প্রবীণ বিচারপতি ফারাহ মেহবুব ৷ দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সর্বসম্মতির ভিত্তিতে এই কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হয়েছে ৷ এটাই সংববিধানের ভিত্তি ৷ সংবিধানের প্রাথমিক কাঠামোটাই ধ্বংস করে দিয়েছিল পঞ্চদশ সংশোধনী ৷ তবে এই সংশোধন পুরোপুরি বাতিল করা যাবে না ৷
মহম্মদ ইউনুস (সংবাদসংস্থা- এএনআই) এদিন আদালত আরও জানায়, সংবিধানের ভিত্তি হল গণতন্ত্র ৷ শুধুমাত্র অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে ৷ সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে মানুষের ক্ষমতায়ন, মানুষই সব শক্তির উৎস ৷ 2011 সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে হাতিয়ার করে কেয়ারটেকার সরকারি ব্যবস্থাকে খারিজ করে দিয়েছিল ৷
গত 5 অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয় ৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ৷ তিনি ভারতে আশ্রয় নেন ৷ এরপর 8 অগস্ট মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার ৷ এই সরকার এখন দেশ চালাচ্ছে ৷ গতকাল, 16 ডিসেম্বর মুখ্য উপদেষ্টা ইউনুস জানান, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হতে পারে 2025 সালের শেষ দিকে বা 2026 সালের প্রথম দিকে ৷ 1971 সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে ছিল সোমবার ৷ এদিনই নির্বাচন নিয়ে এই ঘোষণা করেন ৷
এদিনের বক্তৃতায় ইউনুস বলেন, "রাজনৈতিক সম্মতি থাকলে কিছু সংস্কার সাধন করে তারপর যথাযথ পদ্ধতিতে ভোট হবে ৷ 2025 সালের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে ৷" তিনি স্বীকার করে নেন যে, সংস্কারগুলি কার্যকর করতে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে ৷ তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে গেলে সেক্ষেত্রে ইলেক্টোরাল রিফর্মস কমিশনের অনুমোদন চাই ৷ এই সব মিলিয়ে আরও ছ'মাস লাগতে পারে ৷ তাতে নির্বাচন হতে হতে 2026 সাল হয়ে যাবে ।"