ETV Bharat / international

সলমন রুশদির উপর প্রাণঘাতী হামলা ! মার্কিন আদালতে দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্ত - SALMAN RUSHDIE STABBING CASE

নিউইয়র্কে একটি সাহিত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন 2022 সালের 12 অগস্ট সলমন রুশদির উপর হামলা করে হাদি ৷ ধাড়ালো ছুরি দিয়ে 12বারেরও বেশি আঘাত করে ৷

SALMAN RUSHDIE STABBING CASE
সলমন রুশদিকে খুনের চেষ্টায় দোষী হাদি মাতার (এপি, ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 22, 2025, 12:01 PM IST

মেভিল, 22 ফেব্রুয়ারি: সাহিত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন লেখক সলমন রুশদির উপর ছুরি নিয়ে একের পর এক হামলা ৷ নিউইয়র্কের সেই হামলার 3 বছর পর অভিযুক্ত হাদি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত ৷ মামলার শুনানি শুরুর 2 ঘণ্টার মধ্যেই রুশদির উপর হামলাকারী 27 বছরের হাদিকে দোষী সাব্যস্ত করেন জুরিরা ৷ সেই সঙ্গে, সলমন রুশদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত অপর এক ব্যক্তিকে আঘাত করার অপরাধেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত ৷ যদিও এখনও তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি ৷ আগামী 23 এপ্রিল তার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷ তবে, অনুমান 25 বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেতে পারে হাদি মাতার ৷

দোষী হাদি মাতার নিউ জার্সির বাসিন্দা ৷ নিউইয়র্কে একটি সাহিত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন 2022 সালের 12 অগস্ট সলমন রুশদির উপর হামলা করে হাদি ৷ ভরা সভার মধ্যে ধাড়ালো ছুরি দিয়ে লেখকের শরীরে 12 বারেরও বেশি আঘাত করে ৷ হামলায় 77 বছর বয়সি বুকারজয়ী লেখকের নষ্ট হয়ে গিয়েছে একটি চোখ ৷ একটি হাতও অকেজ হয়ে গিয়েছে ৷ রীতিমতো মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসেন বিখ্যাত এই ব্রিটিশ লেখক ৷

সুস্থ হয়ে ফিরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ বয়ান দেন 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর লেখক ৷ এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷ অভিযুক্ত দীর্ঘদিন জেলে থাকার অবশেষে মামলার শুনানি শুরু হয় আমেরিকার একটি কাউন্টি আদালতে ৷ এক সপ্তাহ ধরে সলমন রুশদির সমস্ত বয়ান নথিভুক্ত করা হয় ৷ অবশেষে অভিযুক্ত হাদি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত ৷

হামলার পর দীর্ঘ 17 দিন ধরে পেনসিলভেনিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সলমন রুশদি ৷ সেখানে সুস্থ হওয়ার পর হামলার রেশ কাটানোর জন্য নিউ ইয়র্ক সিটি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে 3 সপ্তাহেরও বেশি সময় থাকতে হয় তাঁকে ৷ দীর্ঘ চিকিৎসার অভিজ্ঞতা জানিয়ে 2024 সালে 'নাইফ' নামে একটি আত্মকথা লেখেন তিনি ৷

অন্যদিকে, মামলার শুনানি চলাকালীন খাতা আর পেন নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় অভিযুক্ত হাদি মাতারকে ৷ শুধু তাই নয়, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও 'ফ্রি প্যালেস্তাইন' ছাড়া আরও কোনও কিছু শোনা যায়নি তার মুখে ৷

তবে লেখকের উপর এই হামলার কারণ কী ? এই প্রশ্নের উত্তরে হিজবুল্লা ও ইরান যোগ উঠে এসেছে ৷ 1989 সালে 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাস লেখেন সলমন রুশদি ৷ উপন্যাসটিকে ধর্মীয় অপমান বলে ঘোষণা করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলি ৷ এমনকী, লেখকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে ইরান ৷ 2006 সালের ভাষণে লেখকের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্যও করেন হিজবুল্লা নেতারা ৷ মার্কিন তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, সেই ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সলমন রুশদিকে প্রাণে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় হাদি মাতার ৷

পড়ুন: সাহিত্যের আঙিনায় ফিরলেন রুশদি, হামলার 6 মাস পর সামনে এল 'ভিকট্রি সিটি' !

মেভিল, 22 ফেব্রুয়ারি: সাহিত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন লেখক সলমন রুশদির উপর ছুরি নিয়ে একের পর এক হামলা ৷ নিউইয়র্কের সেই হামলার 3 বছর পর অভিযুক্ত হাদি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত ৷ মামলার শুনানি শুরুর 2 ঘণ্টার মধ্যেই রুশদির উপর হামলাকারী 27 বছরের হাদিকে দোষী সাব্যস্ত করেন জুরিরা ৷ সেই সঙ্গে, সলমন রুশদির সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত অপর এক ব্যক্তিকে আঘাত করার অপরাধেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মার্কিন আদালত ৷ যদিও এখনও তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি ৷ আগামী 23 এপ্রিল তার সাজা ঘোষণা করা হবে ৷ তবে, অনুমান 25 বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেতে পারে হাদি মাতার ৷

দোষী হাদি মাতার নিউ জার্সির বাসিন্দা ৷ নিউইয়র্কে একটি সাহিত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন 2022 সালের 12 অগস্ট সলমন রুশদির উপর হামলা করে হাদি ৷ ভরা সভার মধ্যে ধাড়ালো ছুরি দিয়ে লেখকের শরীরে 12 বারেরও বেশি আঘাত করে ৷ হামলায় 77 বছর বয়সি বুকারজয়ী লেখকের নষ্ট হয়ে গিয়েছে একটি চোখ ৷ একটি হাতও অকেজ হয়ে গিয়েছে ৷ রীতিমতো মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসেন বিখ্যাত এই ব্রিটিশ লেখক ৷

সুস্থ হয়ে ফিরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ বয়ান দেন 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর লেখক ৷ এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷ অভিযুক্ত দীর্ঘদিন জেলে থাকার অবশেষে মামলার শুনানি শুরু হয় আমেরিকার একটি কাউন্টি আদালতে ৷ এক সপ্তাহ ধরে সলমন রুশদির সমস্ত বয়ান নথিভুক্ত করা হয় ৷ অবশেষে অভিযুক্ত হাদি মাতারকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত ৷

হামলার পর দীর্ঘ 17 দিন ধরে পেনসিলভেনিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সলমন রুশদি ৷ সেখানে সুস্থ হওয়ার পর হামলার রেশ কাটানোর জন্য নিউ ইয়র্ক সিটি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে 3 সপ্তাহেরও বেশি সময় থাকতে হয় তাঁকে ৷ দীর্ঘ চিকিৎসার অভিজ্ঞতা জানিয়ে 2024 সালে 'নাইফ' নামে একটি আত্মকথা লেখেন তিনি ৷

অন্যদিকে, মামলার শুনানি চলাকালীন খাতা আর পেন নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় অভিযুক্ত হাদি মাতারকে ৷ শুধু তাই নয়, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও 'ফ্রি প্যালেস্তাইন' ছাড়া আরও কোনও কিছু শোনা যায়নি তার মুখে ৷

তবে লেখকের উপর এই হামলার কারণ কী ? এই প্রশ্নের উত্তরে হিজবুল্লা ও ইরান যোগ উঠে এসেছে ৷ 1989 সালে 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাস লেখেন সলমন রুশদি ৷ উপন্যাসটিকে ধর্মীয় অপমান বলে ঘোষণা করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলি ৷ এমনকী, লেখকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে ইরান ৷ 2006 সালের ভাষণে লেখকের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্যও করেন হিজবুল্লা নেতারা ৷ মার্কিন তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, সেই ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সলমন রুশদিকে প্রাণে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় হাদি মাতার ৷

পড়ুন: সাহিত্যের আঙিনায় ফিরলেন রুশদি, হামলার 6 মাস পর সামনে এল 'ভিকট্রি সিটি' !
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.