ঢাকা, 18 ডিসেম্বর: আলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। পাশাপাশি 2004 সালে দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলা থেকে দেশের এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও পাঁচজনকে মুক্তও করে দেয় আদালত। উত্তরপূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আলফাকে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা সংক্রান্ত মামলায় নাম জড়িয়েছিল এই 6 জনের।
2014 সালে একটি মামলায় পরেশকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সে সময়ও তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। ভারতের এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম থাকা পরেশ এখন চিনে আছেন বলে মনে করে বেশ কয়েকটি তদন্ত সংস্থা। ঘটনার সূত্রপাত 2004 সালে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম হয়ে অসমের কোনও একটি গুপ্ত ঠিকানায় প্রচুর অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
অস্ত্র সমেত দশটি গাড়ি সেদিন ধরা পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে একটি এলাকায়। তদন্তকারীরদের দাবি এই সমস্ত অস্ত্র যাচ্ছিল আলফার অজানা ঠিকানায়। সেখানে পাচারের আগে ধরা পড়ে যায়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ ছিল বিরাট। সেদিন 27 হাজার গ্রেনেড, 150টি রকেট, 1,100 সাব-মেশিন গান এবং কয়েক লক্ষ গুলি পাচারের আগে ধরা পড়ে ।
বাংলাদেশ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম এবং নাসিন আখতারের ডিভিশন বেঞ্চ পরেশের সাজা কমিয়েছে। অস্ত্র মামলায় ফাঁসির সাজা হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবরেরও। তাঁর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হালদার, শিল্প মন্ত্রকের অতিরিক্ত পরামর্শদাতা নরুল আমিনেরও সাজা হয়েছিল । পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালিত সার উৎপাদক সংস্থার দুই কর্তা মহসিন তালুকদার এবং এনামুল হক-সহ জামাতের প্রাক্তন নেতা মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসির সাজা হয়েছিল।
এর আগে এই মামলায় দেশের সেনা বাহিনীর হয়ে কাজ করা গুপ্তচর সংস্থার প্রাক্তন প্রধান আব্দুর রহিমের যাবজ্জীবনেরও সাজা হয়েছে । তবে অন্যতম অভিযুক্ত নিজামির আগেই অন্য একটি মামলায় ফাঁসি হয়ে গিয়েছে । 1971 সালে মংক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা বাহিনীকে সাহায্য কররা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির সাজা হয় ।