ঢাকা, 17 অক্টোবর:প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল ৷ বাংলাদেশের একটি আদালত বৃহস্পতিবার দেশ ছাড়া নেত্রীর নামে এই পরোয়ানা জারি করেছে ৷ অগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়েছিলেন মুজিব-কন্যা। প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য দিন বলে অভিহিত করেছেন ৷ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শতাধিক ব্যক্তিদের একজনের আত্মীয় বলেছেন যে, তাঁরা বিচারের জন্য উন্মুখ ছিলেন । হাসিনার 15 বছরের শাসনে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা-সহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখা গিয়েছে ।
আইনজীবী আরও বলেন, "আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার এবং 18 নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে ৷ দেশে জুলাই থেকে অগস্ট পর্যন্ত গণহত্যা, হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। তার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা।"
তিনি আরও জানান, হাসিনার পাশাপাশি তাঁর দল আওয়ামী লিগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-সহ আরও 44 জনের বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে । তবে তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। হাসিনার শাসনের পতনের পর তাঁর বেশ কয়েকজন পরিচিত গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ পুলিশ যাতে অতিসক্রিয় হয় তাতে এই ব্যক্তিদের ভূমিকা ছিল ৷ তাদের জন্যই প্রায় 700 জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে।
দেশ ছাড়ার পর থেকে ভারতের কোনও গুপ্ত ঠিকানায় আত্মগোপন করে আছেন হাসিনা। অগস্টের মাঝামাঝি ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুকের মাধ্যমে দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছিলেন । এরপর তাঁর আর কোনও বক্তব্য দিনের আলো দেখেনি। এর মধ্যে তাঁর দলের এক কর্মীর সঙ্গে হাসিনার ফোন কলের একটি অংশ ভাইরাল হয়। সেই অংশ ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন করে উত্তাল হয়েছে।