কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে আনন্দ ও উৎসাহে ভরা একটি নিষ্পাপ শৈশব এখন হৃদরোগের ঝুঁকিতে ? সম্প্রতি গুজরাত এবং কর্ণাটক থেকে দুটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে ৷ যেখানে 8 বছর বয়সি দুই শিশু হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে । এই দুটি ঘটনা বর্তমানে কোটি কোটি মানুষের মনে ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করছে ।
জানুয়ারিতে গুজরাতের আমেদাবাদের একটি স্কুলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে 8 বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে । সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সকাল 7:30 মিনিটের দিকে ছাত্রীটি তার স্কুল ব্যাগ নিয়ে ক্লাসের দিকে হেঁটে যাচ্ছে । তারপর হঠাৎ কিছুটা কষ্ট অনুভব করে পাশের চেয়ারে বসে থাকার সময় হঠাৎ তার খুব ব্যথা শুরু হয় । যখন শিক্ষকরা এবং কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য স্কুলের বাচ্চারা কিছু বুঝতে পারল, ততক্ষণে মেয়েটির অবস্থার অবনতি হয়ে গিয়েছে । শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির হৃদরোগ মারা গিয়েছে ।
কয়েকদিন আগে কর্ণাটকের মহীশূর জেলার একটি স্কুল প্রাঙ্গণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে 8 বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয় । এই ছাত্রীটি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং যখন তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তখন সে তার ক্লাসে ছিল । তাকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ এই দু'টি ঘটনা এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে ৷ কেন শৈশবে হৃদয় দুর্বল হয়ে পড়ছে । জীবনধারা, পরিবর্তিত অভ্যাস নাকি অন্য কিছু ? জেনে নিন, এই বিপজ্জনক শিশুদের মধ্যে হৃদরোগ কেন বাড়ছে ৷
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী ?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট একটি বিপজ্জনক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয় । এরফলে হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয় ৷ যা পুরো শরীরের উপর প্রভাব ফেলে । তাই একে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও বলা হয় । হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দেয় ।
হৃদরোগের লক্ষণ:বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, বমি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি ৷
শিশুদের হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণ কী জানালেন চিকিৎসক:
মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ বিদ্যা সুরতকাল বলেন, "হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, যার মধ্যে রয়েছে অ্যারিথমিয়া, এনজাইনা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD) ৷ হৃদরোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ভয়াবহ । দেশ জুড়ে এই জীবন-ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ।"