কলকাতা: সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন । মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন । এটি কমাতে, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা হয় এবং কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয় । কিন্তু ফলাফল হয় সীমিত । বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা জরুরি ৷
ডায়েটিশিয়ান ডাঃ শ্রীলথা বলেন, "আমরা যা খাবার খাই তাতে রাসায়নিক পিউরিন ভেঙে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় ৷ অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিড অতিরিক্ত পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে ঠিকমতো না গেলে এই সমস্যা হয়ে থাকে । অনেক সময় জয়েন্টগুলির চারপাশের এবং টিস্যুতে জমা হয় ফলে হাইপারুরিসেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে । যাঁদের ওজন বেশি তাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও বেশি ।"
ডায়েটিশিয়ান জানান, আমাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ভালো নয় । এটির বৃদ্ধি কিডনির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে । এর বৃদ্ধির কারণে প্রস্রাব করতে অসুবিধা, উচ্চ রক্তচাপ, জয়েন্টে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং হাঁটতে অসুবিধা ইত্যাদির মতো বহু সমস্যা হতে থাকে । অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে আয়ু প্রায় 11 বছর কমে যেতে পারে ।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, আমরা যে খাবার খাই তার প্রোটিন থেকে পিউরিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাক করে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় । যখন আমাদের শরীর খুব বেশি ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে বা সঠিকভাবে নিঃসৃত হয় না, তখন এটি হাইপারুরিসেমিয়াতে পরিণত হয় । ফলস্বরূপ, ইউরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হয় । আমাদের পায়ের বুড়ো আঙুলের ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে ৷