কলকাতা: চুল পড়ার যেন কোনও মরশুম নেই । শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, সারাবছর চুল উঠছে । তারসঙ্গে বছরভর আপনিও চুলে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে চলেছেন । তবে বর্ষায় চুল ওঠার পরিমাণ যেনো আরও বেশি ৷ চুল ঝড়া কমাতে বাজার থেকে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য কিনে থাকেন ৷ তাতে তো অনেক সময় লাভ কিছু হয় না ৷ তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন রোজকার খাবারের দিকে নজর দিতে ৷ কিছু খাবার চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ৷
সঠিক খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে । জেনে নিন কী কী খেতে পারেন ?
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:আপনার চুলের ফলিকলে অক্সিজেন বহনের জন্য আয়রন অপরিহার্য । আয়রনের অভাব চুল পড়ার কারণ হতে পারে । যে খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সেগুলি হল চর্বিহীন মাংস যেমন- মুরগির মাংস, মাছ, পালং শাক, মুসুর ডাল, মটরশুটি এবং সিরিয়াল ইত্যাদি ।
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার:জিঙ্ক চুলের বৃদ্ধি এবং মেরামত করতে সাহায্য় করে । এটি চুলের ফলিকলগুলির চারপাশে তেল গ্রন্থিগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতেও সহায়তা করে । এই খাবারে জিঙ্ক প্রচুর থাকে বাদাম, বীজ (যেমন কুমড়ো এবং সূর্যমুখী), গোটা শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য এবং মাংস ইত্যাদি ।
নিয়াসিন (ভিটামিন বি 3): নিয়াসিন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা চুলের বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তোলে ৷ মুরগি, টার্কি, স্যামন, অ্যাভোকাডো এবং গোটা শস্য এই খাবারগুলির মধ্যে ভিটামিন বি 3 বেশি পরিমাণে থাকে ৷
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের পুষ্টি জোগায় এবং স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন-স্যামন এবং ম্যাকেরেল), ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, আখরোট এবং সবুজ শাকসবজি এইগুলি বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন ।
ভিটামিন ডি: ভিটামিন ডি নতুন চুলের ফলিকল তৈরি করতে সাহায্য করে এবং চুলকে সুস্থ রাখে । চর্বিযুক্ত মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম এবং মাশরুম এইগুলিতে ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে থাকে ।
ভিটামিন এ:ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে, একটি তৈলাক্ত পদার্থ যা মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখে । গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক ইত্যাদিতে ভিটামিন এ থাকে ৷
ভিটামিন ই:ভিটামিন ই একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের ফলিকলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে । বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো এবং সবুজ শাকসবজি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ।