বিয়ের ‘লাড্ডু’ অনেকটা দিল্লির মতোই ৷ যে খেয়েছে সে পস্তেছে, আর যে খায়নি সেও পস্তেছে ! অথচ জানা গিয়েছে বিয়ের সম্পর্কের সঙ্গে শরীর স্বাস্থ্যের একটা সম্পর্ক রয়েছে ৷ এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায় ৷
এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে বিবাহিত জীবনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ৷ গবেষণা থেকে এও জানা গিয়েছে, একা থাকার তুলনায় স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সুখী বিবাহিত জীবনের বিরাট ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে ।
সাম্প্রতি ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিশিন-এর এক গবেষণা অনুযায়ী, জানা গিয়েছে এমনই এক তথ্য ৷ এই গবেষণায় 1228 জন বিবাহিত উত্তরদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ৷ যাঁদের মধ্যে 389 জন ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন । যাঁদের HbA1c ≥ 6.5% ছিল তাঁরা ডায়াবেটিস রোগী বলে চিহ্নিত । এই গবেষণায় ডায়াবেটিশ রোগীকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে ৷ নিয়ন্ত্রিত, অনির্ধারিত এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস । ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বৈবাহিক জীবনের স্কেল তৈরি করতে ফ্যাক্টর বিশ্লেষণ পরিচালনা করা হয় ।
এই গবেষণায়, গবেষকরা বৈবাহিক গুণমানকে এমন একটি সামাজিক কারণ হিসাবে মূল্যায়ন করেন যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং ব্যবস্থাপনা উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে । বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, বিবাহের উপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বোঝা যায় ৷ স্বামী-স্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্য আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ৷ যেমন- স্বামী-স্ত্রীকে ধূমপান ত্যাগ করতে, মদ্যপান কমাতে, ব্যায়াম করতে বা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহিত করা ইত্যাদির ফলে একে অপরের এক স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে পরিচালিত করে ৷
স্ট্রেস মডেল অনুসারে, বৈবাহিক সম্পর্ক প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ৷ যা স্ট্রেস এক্সপোজার পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ৷ এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিবাহের সামাজিক নিয়ন্ত্রণের দৃষ্টিকোণ অনুসারে, একজন স্বামী বা স্ত্রী বিশেষ করে স্ত্রী সঙ্গীকে নিয়মিত চিকিৎসা পরীক্ষা করানোর কথা মনে করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভূমিকা নিতে পারেন ৷ যার মধ্যে সাধারণত ডায়াবেটিসের পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে ৷