কলকাতা, 8 মে: আজ পঁচিশে বৈশাখ । বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 163-তম জন্মজয়ন্তী । দিকে দিকে আজ তাঁকে ঘিরেই যত ব্যস্ততা । রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে যাঁরা সারাবছর চর্চা করেন তাঁদের কাছে এই বিশেষ দিনটা কতটা স্পেশাল তা আর বলে দিতে হয় না ৷ তবে তেমনই একজন সঙ্গীতশিল্পী রবীন্দ্রজয়ন্তী ঘিরে তাঁর নস্ট্যালজিয়ার কথা ভাগ করে নিলেন ইটিভি ভারতে । তিনি সোমলতা আচার্য চৌধুরী ।
রবীন্দ্রসঙ্গীত, সফট রক, পপ মিউজিক, সেমি ক্লাসিক্যাল সব ধরনের গানে সোমলতা আচার্য চৌধুরী সমান সাবলীল । তবে যে কোনও গানের অনুষ্ঠানে এত সবকিছুর মাঝে রবীন্দ্রনাথ থাকেন পুরোদমে । তালিকা বেশ দীর্ঘ হয় রবিঠাকুরের গানেই । কেমন ছিল তাঁর ছোটবেলার পঁচিশে বৈশাখ, আজই বা কেমন ? জানালেন নিজেই ।
ইটিভি ভারত :কেমন ছিল ছোটবেলার রবীন্দ্রজয়ন্তী ?
সোমলতা : আমার ছোটবেলার রবীন্দ্রজয়ন্তী আজকের থেকে একদমই অন্যরকম ছিল । সবার আগে মনে পড়ে তিন চারটে চৌকি পেতে স্টেজ বানানো হত পাড়ায় । আর তার উপরেই হত নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তি । পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে টানা এক মাস ধরে চলত আমাদের পাড়ার অনুষ্ঠানের রিহার্সাল । প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় কারোর না কারোর বাড়ি পালটে পালটে রিহার্সাল হত । আজ আমার বাড়ি তো কাল আরেকজনের বাড়ি । সন্ধ্যেগুলো খুব সুন্দর ছিল তখন ।
ইটিভি ভারত : তার মানে তখনও সাংঘাতিক ব্যস্ততা ছিল !
সোমলতা : স্কুল থেকে ফিরে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে একটুখানি হোমওয়ার্ক করেই রিহার্সালে চলে যেতাম । ওই সময়গুলোর কথাই খুব মনে পড়ে । রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন তো আলাদা আনন্দ আর ব্যস্ততা ছিলই । তবে ওই যে এক মাস আগে থেকে আয়োজন চলত । অতগুলো সন্ধে সবার সঙ্গে কাটানো । ওগুলো আজও বড় মনে পড়ে ।"
ইটিভি ভারত : আর এখন প্রতিষ্ঠিত সঙ্গীত শিল্পী সোমলতার কীভাবে কাটে রবীন্দ্রজয়ন্তী ?