কান (ফ্রান্স), 18 মে: আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একবার ভারতীয় সিনেমার জয়জয়কার ৷ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ম্যাজিক তৈরি করল ভারতীয় ক্লাসিক সিনেমা 'মন্থন' ৷ নেপথ্যে পরিচালক শ্যাম বেনেগল ৷ কীভাবে 'অপারেশন ফ্লাড' আন্দোলনের মধ্য় দিয়ে 'মিল্ক ডেফিসিয়েন্ট' দেশ থেকে 'আমূল' পরিবর্তন আসে, তুলে ধরেন পরিচালক শ্যাম বেনেগল ৷ সাতের দশকে ভার্গিস কুরিয়েনের সেই আন্দোলন 77তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পেল আলাদা মর্যাদা ৷
শনিবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় শ্যাম বেনেগল পরিচালত 'মন্থন' ৷ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল স্মিতা পাতিল, গিরিশ কারনাড, নাসিরুদ্দিন শাহ ও অমরীশ পুরীকে ৷ ছবির চিত্রনাট্য লেখেন বিজয় তেন্ডুলকর ৷ ভার্গিস কুরিয়েনের জীবনের একটা বড় অংশই ছিল ছবির মূল কাহিনী ৷ সংলাপ লেখেন কাইফি আজমি ৷ 134 মিনিটের এই ছবি 48 বছর পর দেখানো হল কান চলচ্চিত্র উৎসবে ৷
এদিন বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ, রত্না পাঠক শাহ, অভিনেতা স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক বব্বর, নির্মলা কুরিয়েন, অনিতা পাতিল দেশমুখ, স্মিতা পাতিলের বোন মানয়া পাতিল শেঠ, গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জায়েন মেহতা ৷ সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায় ৷ যেখানে দেখা গিয়েছে ছবির স্ক্রিনিং শেষে উপস্থিত দর্শকদের হাততালিতে ভরে ওঠে প্রেক্ষাগৃহ ৷ ছবি ও অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহকে নিজেদের আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান দর্শকরা ৷
ছবির কাহিনীর দিকে নজর দিলে জানা যায়, ভারতে শিশু থেকে শুরু করে সকলের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ দুধের অভাব ছিল ৷ দেশে সাধারণ মানুষের অপুষ্টিজনিত সমস্যা কমতে পারে যদি দুধ খাওয়ার প্রচলন বাড়ে ৷ সেই সময় এগিয়ে আসেন ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভলপমেন্ট বোর্ডের প্রধান ভার্গিস কুরিয়েন ও ত্রিভূবন দাস নামে এক সমাজকর্মী ৷ গুজরাতের আনন্দে তৈরি করা হয় স্থানীয় দুগ্ধ প্রকল্পের সমবায় ৷ তারপর দুগ্ধ প্রকল্পকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে কীভাবে গরিব মানুষেরা উপকৃত হয়েছিলেন, সেই জার্নি তুলে ধরেছে মন্থন ছবি ৷ এখান থেকেই আমূল কোম্পানির পথ চলা শুরু হয় ৷