হায়দরাবাদ, 18 সেপ্টেম্বর: সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল 2015 সাল থেকে ৷ 31 ডিসেম্বর পরিবারের সদস্য হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন বুঁচকি ৷ মাত্র 9 বছরে সেই সম্পর্ক টানল ইতি ৷ 17 সেপ্টেম্বর ঋতাভরী চক্রবর্তী হারালেন তাঁর প্রিয় সারমেয়কে৷ পরিবারের সন্তানসম একজনকে হারিয়ে মন ব্যাকুল অভিনেত্রীর।
মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে বুঁচকির একটি কোলাজ ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। যেখানে প্রিয় সারমেয়কে দেখা যায় কখনও অভিনেত্রীর মায়ের সঙ্গে খেল বুঁচকি আবার কখনও সে আদর করছে অভিনেত্রীকে। নানা সময়ে প্রিয় পোষ্য তাঁদের মুখে কেবল হাসিই ফুটিয়েছে ৷ তার মৃত্যুতে মনখারাপ ঋতাভরীর।
বুঁচকির সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত (সোশাল মিডিয়া) তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "কত আনন্দ দিয়েছিস আমাদের সোনা। যেখানেই থাকিস খুব ভাল থাকিস। স্বর্গলোক হয়তো তোকে পেয়ে আজ আনন্দ উদযাপন করছে। তুই যেখানেই যাস সকলকে আনন্দ দিস ৷ আমরা তোকে ভালবাসি এবং তোর কথা খুবই মনে পড়বে। শান্তিতে ঘুমা বুঁচকি।" অভিনেত্রীর এমন শোকের সময় সমবেদনা জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। কারণ তিনিও একজন ডগ মম ৷ তাই সন্তানসম পোষ্যের মৃত্যু যে বড়ই যন্ত্রণার, তা বোঝেন মিমি ৷ ঋতাভরীর পোস্টে তিনি বুঁচকির জন্য ভালোবাসা পাঠিয়েছেন ৷
ঋতাভরীর শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আদরের পোষ্যটিকে 'হাবলা ডগি' বলে মিষ্টি আদুরে সুরে ডাকছেন অভিনেত্রী ও তাঁর মা শতরূপা স্যান্যাল ৷ এরপর ভিডিয়োতে লেখা ফুটে ওঠে আমাদের সন্তান বুঁচকি 31.1.2015- 17.9.2024'। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর বাবা কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। এখন তাঁর আরেক পরিবারের সদস্য ছেড়ে যেতেই, চোখের জল বাঁধ মানছে না অভিনেত্রীর।
তাঁর সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ঋতাভরী। কিছুদিন আগেই আদরের পোষ্য প্য়ারিসকে হারিয়ে এমনই এক মন খারাপ করা পোস্ট করেছিলেন টলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। কাজের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তীকে আবির চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে উইনডোজ প্রোডাকশনের ছবি 'বহুরূপী'তে দেখা যাবে। 8 অক্টোবর এই ছবি মুক্তি পাবে সোশাল মিডিয়ায় ৷
ঋতাভরীর মা তথা পরিচালক শতরূপা স্যান্যালও বুঁচকির সঙ্গে কাটানো নানা মুহূর্ত শেয়ার করেন সোশাল মিডিয়ায় ৷ তিনি লেখেন, "আমার আদরের বুঁচকি, সোনা মেয়ে বুঁচকি। আমায় ভালোবাসায় ভরে রেখেছিল, নিঃস্বার্থ নিখাদ সেই ভালোবাসা। ওর আমার কাছে আসাটা ছিল একেবারেই অকস্মাৎ। এক নিষ্ঠুর পাচারকারীর হাত থেকে উদ্ধার হয়েছিল কয়েকটি দামী সেন্ট বার্নার্ডের শিশু। এদের তখন বাঁচানোই কঠিন!"
শতরূপা স্যান্যাল আরও লেখেন, এত ছোট আর দুর্বল।তারই একজন বুঁচকি। রেসকিউ হওয়া এক পশমের বল! সেই ছোট্ট পশমের বলটা আমার ঘরে , ধীরে ধীরে সুন্দরী এক তরুণী হয়ে উঠেছিল। মায়ের উপর একচ্ছত্র অধিকার দাবী করে, যখন তখন কোলে উঠে বসতে চাইতো, বুঁচকি।আজ সকালের পর থেকে বুঁচকি শুধুই স্মৃতি। কত যে আনন্দ দিয়ে গিয়েছিস, সোনা মা আমার! আজ কোনও অচেনা অজানা বাগানে , মাটি মায়ের বুকে তোকে ঘুমোতে পাঠালাম, ভাবতেই গলা ব্যথা চোখে জল, মন ভারাক্রান্ত। আবারও মৃত্যুর কাছে হার স্বীকার করলাম।"