কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: শহরের বুকে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রেট্রো ফেস্ট। টিকিট থেকে উপার্জিত অর্থের মাধ্যমে সাহায্য করা হবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের। এমনই উদ্যোগ নিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পাশে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালও।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে অরিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, বিগত দশ বছর ধরে সন্তোষপুর আগন্তুক স্পেশাল চাইল্ড, বয়স্ক মানুষ, সর্বোপরি নারী এবং পুরুষ স্বনির্ভরতা নিয়ে বিভিন্ন রকম সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এর আগেও এরকম কিছু ফান্ড সংগ্রহ করেছি। তবে সবটাই খুব নীরবে থেকে করার চেষ্টা করেছি বরাবর। এই বছরের অনুষ্ঠান একটু অন্যরকম। এই বছর এমন কিছু মনোজ্ঞ মানুষের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি যা আমাদের উদ্যোগকে আরও সম্বৃদ্ধ করেছে।
তিনি আরও জানান, সৌরেন্দ্র - সৌম্যজিতের গানের অনুষ্ঠান তো থাকছেই, সঙ্গে থাকছে সলিল চৌধুরীর প্রাক জন্মশতবর্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান। সলিল চৌধুরী এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাঁর গানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপ্লব আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। সব মিলিয়ে এই সন্ধ্যা যে মানুষের ভালো লাগবে এই আশা রাখছি। সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যে আমরা আমাদের সংস্থার উদ্দেশ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব, সেই আশাও রাখছি
অনুষ্ঠান বিষয়ে সৌরেন্দ্র- সৌম্যজিৎ জুটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশেষ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে সত্যি ভালো লাগছে। গান, সুর মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এসেছে সৃষ্টির শুরু থেকেই। যে মানুষগুলো আমাদের সমাজে নানান কারণে পিছিয়ে রয়েছে, তাদের কল্যাণার্থে যদি সত্যিই কিছু মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারি, তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তবে সত্যিই খুব ভালো লাগবে। যেহেতু অনুষ্ঠানের নাম রেট্রো ফেস্ট, মূলত রেট্রো গান, লোকগীতি ও রবিঠাকুরের গানের পরিবেশনাই থাকছে আমাদের তরফ থেকে। আশা করি সকলে উপভোগ করবেন।
দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সন্তোষপুর আগন্তুক প্রত্যেক বছরই কোনও না কোনও অনুষ্ঠান করে থাকে। এই বছর প্রথমবার তাঁদের এই ফান্ড সংগ্রহের উদ্যোগের সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছি। অনুষ্ঠানটির নাম রেট্রো ফেস্ট । কিন্তু আমি যে বিশেষ পরিবেশনায় রয়েছি, সেটির নাম 'একগুচ্ছ চাবি'। সলিল চৌধুরীর প্রাক জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নৃত্য পরিবেশন করব আমি। সঙ্গে থাকছেন নৃত্যশিল্পী অর্ণব বন্দোপাধ্যায়। আমি খুবই আনন্দিত। সলিল চৌধুরীর গানের সঙ্গে নাচ করা সত্যি আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়। উনি আমার ভীষণ প্রিয় শিল্পী। শুধু সঙ্গীত পরিচালক বললে সত্যিই কম বলা হয়। আমরা যে গানগুলোতে নৃত্য পরিবেশন করছি, সেগুলো আমার ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ প্রিয়। আমরা খুব আনন্দ করে উৎসাহের সঙ্গে এই কাজ করছি। আশা করব যারা দেখতে আসবেন তাঁরাও খুব আনন্দ পাবেন।"