কলকাতা, 4 জানুয়ারি: 'খাদান' ঝড় বইছে শহরে। তারই সঙ্গে আট থেকে আশি মেতেছে 'কিশোরী' গানে। রিল বানিয়ে সোশাল মিডিয়া মাতানো থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে পার্টি জমানো- এ বছর 'কিশোরী'রই জয়জয়কার। ওদিকে সম্প্রতি এক বিজ্ঞাপণেও কার্টুন আকারে জায়গা করে নিয়েছে 'খাদান' ছবির কিশোরী এবং তাঁর প্রেমিক। তা হলে কি 2025-এর পুজোও মাতাবে 'কিশোরী'? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে সাম্প্রতিককালের বাংলা সিনেমার হাল হকিকত নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে আড্ডা দিলেন 'কিশোরী'র কারিগর অর্থাৎ সুরকার, গায়ক রথীজিৎ ভট্টাচার্য।
ইটিভি ভারত: 'কিশোরী' এখন মুখে মুখে এবং নাচের তালে। ম্যাজিক ছিল নাকি কোনও?
রথীজিৎ: এরকম রোম্যান্টিক গান আগে কখনও বানানোর সুযোগ পাইনি আমি। ছবির প্রেক্ষাপট যেহেতু পুরুলিয়া, তাই দেব দা এবং ছবির পরিচালক আমাকে বলেছিলেন যেন পুরুলিয়ার মাটির কাছাকাছি নিয়ে আসা যায় গানটাকে। আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি। আর ম্যাজিক বলুন বা নতুনত্ব তা হল আমরা গানটাতে ধামসা, মাদলের মতো এমন সব ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করেছি যা কোনও ফিল্মি রোম্যান্টিক গানে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত 'ঝুমুর' বা 'লোকগান'-এই ব্যবহার করা হয় ৷ আমার মনে হয় সব মিলিয়ে একটা নতুন ব্যাপার ছিল বলে লোকের ভালো লেগেছে। গান বানানোর সময় বোঝা যায় না কোনটা মানুষের ভালো লেগে যাবে।
রথীজিৎ: মানুষ বলবে, আপনারা বলবেন কী হতে চলেছে। গান তো শুধু পুজোরই না, সারা বছর ধরে চলে যদি সেটা জনপ্রিয়তা পায়। তবে একটা কথা বলতেই হবে, থার্টি ফার্স্ট-এর রাতে মানুষ পার্টি সং বাজাতে যেখানে অভ্যস্ত সেখানে এবার 'কিশোরী' চালিয়ে নেচেছে। এটা বড় প্রাপ্তি। |
ইটিভি ভারত: রিলের বন্যাও তো বইছে।
রথীজিৎ: হ্যাঁ। তাই তো দেখছি। দুই আড়াই বছরের বাচ্চাও গাইছে 'কিছোরি কিছোরি'...। কথাও বলতে পারে না ঠিক করে। কিন্তু 'কিছোরি' গাইতে হবে তাকে। একজন তো 'খিচুড়ি'ও গাইছে। জাস্ট ভাবা যায় না। মানে এতটাই সবার মনে বাসা গড়েছে 'কিশোরী'। তবে, এর অংশীদার আমি একা নই। গানটা ঋতম অত্যন্ত সুন্দর লিখেছে। শুরুতেই 'আইলো আইলো আমারো সজনী...' লাইনটাতে আমি ঝুমুরের ছন্দ এনেছি।সুর নিয়ে খেলার জায়গা দিয়েছে আমাকে ঋতম। আর অন্তরার অমন মিষ্টি গলা। আমার খুব পছন্দ অন্তরার গলা। মনে হয়েছিল ওর গলাই ভালো লাগবে। প্রথমে গানটা পাঠিয়ে ওকে শুনতে বলি। তারপর পছন্দ হলে গেয়ে পাঠাতে বলি। ওর পছন্দ হয়, গেয়ে পাঠায় আমাদের। আর ব্যস।