কলকাতা, 7 মার্চ: মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার! শুরুতে চেনা পরিচিতদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন মধুরা পালিত। 2018 সালে ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যামেরা সামলানোর কাজ করতে এসেছিলেন মধুরা। তখন তাঁকে ভরসা করতে পারেননি অনেকেই। একজন মহিলার পক্ষে ক্রিউ টিম সামলানো সম্ভব না। এটাই ভেবেছিলেন সবাই। পরে তাঁরাই আফসোস করেছেন আজকের মধুরা পালিতের ক্যারিশ্মা দেখে। এই মুহূর্তে টলিউডের সবথেকে ব্যস্ত ফিমেল সিনেমাটোগ্রাফার তিনি।
নারী দিবসের প্রাক্কালে মধুরা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানালেন, তাঁর সিনেমাটোগ্রাফার হয়ে ওঠার কাহিনি। মধুরার কথায়, "এমন কাজ করতে চেয়েছিলাম যেটা আনন্দের সঙ্গে করতে পারব। এই কাজটা সেরকমই। নিজেকে আজ পরিচিত করতে পেরেছি। এটা যেমন তৃপ্তি আমার কাছে, তেমনি আমাকে শুরুতে যে সব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আগামিদিনে কোনও মহিলা সিনেমাটোগ্রাফার ইন্ডাস্ট্রিতে এলে তাঁকে আর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "মহিলা হিসেবে তখন কেউ ভরসা করতে পারেননি। আজ সেই জায়গাটা পোক্ত করতে পেরেছি। এরপরে আর কোনও মেয়েকে 'ফিমেল সিনেমাটোগ্রাফার' বলা হবে না। শুধু 'সিনেমাটোগ্রাফার' বলা হবে বলেই আমার বিশ্বাস। এখন সকলে আমার নামে চেনে ৷ কিন্তু এই প্রোফোশনে আসার আগে আমার কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না ৷ কোনও গডফাদারও ছিল না ৷ সেখান থেকে আমি নিজের যে জায়গাটা বানাতে পেরেছি তা গর্বের জায়গা ৷"
অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের আর্ট ফিল্ম 'আমি ও মনোহর' দিয়ে সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে জার্নি শুরু হয় মধুরার। এরপর একে একে 'ওয়াচমেকার', 'মুখোশ', 'দিলখুশ', 'কিশমিশ', 'কথামৃত', 'সহবাসে' থেকে 'চিনি 2' সবছবিতেই স্বমহিমায় নিজের ছাপ ধরে রাখতে পেরেছেন মধুরা ৷ এমনকী, সম্প্রতি 'টেক্কা'র ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছেন মধুরা পালিত। হাতে রয়েছে আরও ছবি এবং ওয়েব সিরিজ ।