চণ্ডীগড়, 6 জুন: হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী তথা মান্ডির জয়ী বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত ৷ চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে 'চড়' মারার অভিযোগ মহিলা সিআইএসএফের জওয়ানের বিরুদ্ধে ৷ জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম কুলবিন্দর কৌর ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত মহিলা সিআইএসএফের জওয়ানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ এমনকী, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘটনার ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা জওয়ানের মা কৃষক আন্দোলনের অংশ ছিলেন ৷ আর আন্দোলনরত কৃষকদের নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্যের প্রতিবাদেই তিনি অভিনেত্রীকে চড় মারেন ৷
বিমান বন্দরে কঙ্গনাকে 'চড়' (এএনআই) এদিন, কঙ্গনা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "আমার কাছে সংবাদমাধ্যম থেকে বন্ধুদের অনেক ফোন আসছে ৷ প্রথমেই বলে রাখি আমি নিরাপদে আছি ৷ আজ চণ্ডীগড় বিমান বন্দরে সিকিউরিটি চেকের সময় একটি ঘটনা ঘটেছে ৷ চেকের পর আমি বাইরে বেরিয়ে আসি ৷ অন্য একটি কেবিনে সিআইএসএফের এক মহিলা জওয়ান দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ তিনি আচমকাই আমাকে আঘাত করেন ৷ গালিগালাজ করতে থাকেন ৷ আমি যখন কারণ জানতে চাইলাম, তখন উনি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলেন ৷ উনি সেটাকে সমর্থন করেন ৷ তবে আমি এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে পঞ্জাবে উগ্রবাদী মনোভাব বাড়ছে ৷ সেটিকে কী করে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব তা ভেবেই আমি উদ্বিগ্ন ৷"
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিং ৷ তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, " দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ৷ কোনও মহিলার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয় ৷ যিনি এখন পার্লামেন্টের একজন সদস্য আবার ৷ একজন সুরক্ষা কর্মী এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টা দুর্ভাগ্যজনক ৷ কঙ্গনা তাঁর নিজস্ব মতামত শেয়ার করেছেন ৷ সেটা করতেই পারেন ৷ কিন্তু কাউকে এইভাবে হেনস্থা করার আমি তীব্র নিন্দা করছি ৷"
কয়েক বছর আগে দেশে নয়া কৃষি বিল নিয়ে আসে মোদি সরকার ৷ উত্তর ভারত বিশেষ করে পঞ্জাবের কৃষকরা এই নয়া বিলের তীব্র প্রতিবাদ করেন ৷ রোজগার হারানোর আশঙ্কায় পঞ্জাব-দিল্লি সীমান্তে একাধিক জায়গায় তাঁরা আন্দোলন শুরু করেন ৷ মোট দু'দফায় কৃষকদের আন্দোলন দেখেছিল দেশ ৷ এমনই এক সময়ে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন কঙ্গনা ৷ তিনি এক বৃদ্ধার কথা উল্লেখ করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ৷ তিনি লেখেন, এই বৃদ্ধা এবং এঁর মতো অনেকেই 100 টাকায় আন্দোলন করতে রাজি হয়ে যান ৷
অভিনেত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ঝড় ওঠে ৷ কৃষকদের সংগঠন থেকে শুরু করে বহু সামাজিক সংগঠন দাবি করে, কঙ্গনাকে ক্ষমা চাইতে হবে ৷ বিতর্কের আবহে নয়া পদক্ষেপ করে মোদি সরকার ৷ বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৷ তবে আজকের ঘটনা প্রমাণ করে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে তোলপাড় চলেছিল তার রেশ এখনও বজায় রয়েছে ৷