হায়দরাবাদ, 21 নভেম্বর: আরজি কর কাণ্ডের সাড়ে তিন মাস পরেও মিলছে 'তারিখ পে তারিখ' ৷ নির্যাতিতার বিচারের আশায় দিন গুনছেন তাঁর বাবা-মা ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিলোত্তমাও কি ভুলতে বসেছে আরজি কর কাণ্ড? সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুললেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ৷ কয়েকদিন আগেই সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং-ও নিজের সোশাল অ্যাকাউন্টে আরজি কর বিচারের কথা মনে করিয়ে ছিলেন ৷ এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন কমলেশ্বর ৷
এদিন তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "আর্থিক বিপর্যয় মানেই: আয় কম। সামাজিক বিভাজন মানেই: আস্থা কম। তাই, মদ বেচো, ম্যাসাজ বেচো, লটারি বেচো, ককটেল-পার্টি বেচো, জ্যোতিষ বেচো, রাজনৈতিক বা পরকীয়ার কেচ্ছা বেচো, ধর্ম বেচো, সাজগোজ বেচো, বিনোদন বেচো, খেলাধুলো বেচো, গ্যাজেট বেচো, খেলনা বেচো আর ভয় বেচো।"
এরপরেই পরিচালক লেখেন, "আসলে পালিয়ে যাবার রাস্তা বেচো। তারপর সুযোগ পেলে নিজেকেই বেচে দাও। চোখ কান রাখলেই এগুলো দেখতে পাবেন। চোখ কান খোলা নেই। তাই তিলোত্তমার শব আর দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁর বাবা মা'র কান্না শুনতে পাচ্ছেন না। অনুভব করতে পারছেন না 'বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।"
প্রথম থেকেই আরজি কর নিয়ে সরব ছিলেন পরিচালক কমলেশ্বর ৷ সামাজিক মাধ্যমে বারবার উঠে এসেছে তাঁর প্রতিবাদী পোস্ট ৷ এমনকী, পুজোর উৎসবে গা ভাসানো নিয়েও নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন পরিচালক ৷ 11 অক্টোবর কমলেশ্বর লেখেন, "এতদিন ধরে উৎসব, খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতির সিন্ডিকেট, দাদাগিরি, থ্রেট, তোলাবাজি, কাটমানি, পাচার, সন্ত্রাস, পা-চাটাচাটি, পিঠ চুলকানো অনেক দেখেছি। এবার আন্দোলন দেখছি। যাঁরা এখনো দেখতে পাচ্ছেন না বা আড়চোখে লুকিয়ে দেখছেন, উন্নয়নের সানগ্লাসটা খুলে ফেলুন। চোখ ঝলসে যাবে।সোদপুর-জয়নগর-যাত্রাগাছি-পার্ক স্ট্রিট-পটাশপুর এক সুতোয় বাঁধা পড়ে গেছে কিন্তু।"