হায়দরাবাদ, 11 ডিসেম্বর:দিলীপ কুমার, ভারতীয় সিনেমায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের মধ্যে একজন ৷ বলিউডের অন্যতম সেরা তারকা হিসাবে সম্মানিত। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ফিল্মি কেরিয়ারে তিনি আলাদা মাইলস্টোন তৈরি করে গিয়েছেন ৷ তাঁর 102তম জন্মবার্ষিকীতে জানা যাক অভিনেতার অজানা কিছু কথা ৷
সাধারণ থেকে স্টারডম পাওয়ার জার্নি
1922 সালের 11 ডিসেম্বর,, বর্তমানে পাকিস্তানের পেশোয়ারে মোহাম্মদ ইউসুফ খানের জন্ম হয় ৷ দিলীপ কুমারের ছোট বেলার বন্ধু ছিলেন রাজ কাপুর ৷ তাঁরা একই পাড়ায় বড় হয়েছেন ৷ সিনে দুনিয়ায় আসার আগে, তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনে কাজ করতেন, সেখানকার লোকেদের জন্য স্যান্ডউইচ তৈরি করতেন দিলীপ কুমার। অভিনেতার জীবন নাটকীয় মোড় নেয় যখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় একটি বক্তৃতা দেন, যে কারণে তাঁকে ইয়েরওয়াদায় কয়েক দিনের জন্য জেলে বন্দি করে রাখা হয়। এই ঘটনা তাঁকে 'গান্ধিওয়ালা' নামে অভিহিত করে।
অভিনয় জগতে পা
রূপোলি পর্দায় দিলীপ কুমার পা রাখেন 1944 সালে ৷ ছবির নাম 'জোয়ার ভাটা' ৷ যদিও তাঁর প্রথম তিনটি সিনেমা বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি ৷ চতুর্থ সিনেমা জুগনু (1947) ভাগ্যের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দিলীপ কুমারের ৷ ব্যতিক্রমী অভিনয়ের মাধ্যমে পর্দায় আলোড়ন তোলেন অভিনেতা ৷ ছবি বক্সঅফিসে ব্লকবাস্টার হিট করে। এরপর তিনি 'শহীদ', 'মেলা', 'আন্দাজ', 'বরসাত', 'জোগান', 'বাবুল', 'তারানা', 'দাগ', 'উরান খাটোলা', 'দেবদাস', 'মধুমতি' এবং 'পেগাম'-এর মতো আইকনিক সিনেমা উপহার দিয়েছেন।
ভারতীয় সিনেমার ট্রাজেডি কিং
1950-এর দশকে, দিলীপ কুমার হিন্দি সিনেমা জগতের অন্যতম সফল অভিনেতা হয়ে ওঠেন। অভিনেত্রী মধুবালার সঙ্গে আইকনিক সিনেমা, 'মুঘল-ই-আজম' (1960) সেই বছরের সবচেয়ে বড় হিটগুলির মধ্যে ছিল একটি। একের পর এক ব্লকব্লাস্টার ছবি দিয়ে কিংবদন্তি অভিনেতা 'ট্র্যাজেডি কিং' খেতাব অর্জন করেন।
ভারতীয় সিনেমায় দিলীপ কুমারের অবদান
ভারতীয় চলচ্চিত্রে দিলীপ কুমারের অবদান অবিস্মরনীয়। তিনি তাঁর অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা, আবেগের গভীরতা এবং ক্যারিশমা দেখিয়েছেন প্রায় 60টির মতো সিনেমায় ৷ অভিনেতার 102 তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রইল তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য ৷ অপার প্রতিভা এবং অভিনয় নৈপুণ্যের কারণে ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অমোঘ ছাপ রেখে গিয়েছেন দিলীপ কুমার।