কলকাতা, 25 জানুয়ারি: 2021 সালের পর আবারও ছবি পরিচালনায় মন্ত্রী তথা অভিনেতা ব্রাত্য বসু ৷ 19 জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত সিনেমা "হুব্বা"। আজ থেকে প্রায় 14 বছর আগে খুন হয়েছিলেন হুগলির 'দাউদ' হুব্বা শ্যামল। কিন্তু তাঁর জীবন কেমন ছিল? কীভাবে শ্যামল দাস পরিণত হয়েছিলেন হুব্বা শ্যামলে । তা নিয়েই তৈরি ব্রাত্য বসুর এই সিনেমা। ছবি নিয়ে নানা আলোচনায় ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা পরিচালক ব্রাত্য বসু ৷
শুধু ভারত নয়, তাঁর এই সিনেমা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার দর্শকরাও। ফেব্রুয়ারির 2 তারিখ আমেরিকার 40টি প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেতে চলছে এই সিনেমা। একজন অপরাধমূলক মানুষকে নিয়ে সিনেমা। এতে কি সমাজে কোনও প্রভাব ফেলে? রাজ্যের মন্ত্রী তথা পরিচালক জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ সিনেমা হলে বিনোদিত হতে যান ৷ সমাজে কি হচ্ছে, তা নিয়ে মাথাব্যাথা কারও থাকে না ৷ শুধুমাত্র ছবি দেখার আনন্দেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমাচ্ছেন ৷
তবে কি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গ্যাংস্টারই আমাদের আনন্দের রসদ? পরিচালক জানান, "অনেক পরিচালক বলেন, আমার মধ্যে একটা গ্যাংস্টার লুকিয়ে আছে। গ্যাংস্টার মানে সে যে সমাজের প্রচলিত নিয়ম মানছে না। সে নিজেই সমাজে একটি সমান্তরাল নিয়ম প্রতিষ্ঠিত করছে। " এই ভাবটা আরও বেশি করে তুলে ধরার জন্য পরিচালকের সিনেমার তিনটি গানই গেয়েছেন শিলাজিৎ।
গ্যাংস্টারের সিনেমা হলেও বলিউডের সঙ্গে তুলনায় নারাজ পরিচালক। তাঁর কথায়, "বলিউডে একজন গ্যাংস্টারকে মূলত 'লার্জার দ্যান লাইফ' এবং পরিস্থিতির শিকার হিসেবে দেখানো হয়। তার সঙ্গে গ্যাংস্টারদের গুণগান করা হয়। কিন্তু আমার ছবিতে সেই সব কিছু দেখানো হয়নি। বরং তাঁকে রক্তমাংসের মানুষ হিসেবেই ফুটিয়ে তুলেছি। সমাজের সঙ্গে চলতে চলতে তাঁর ভিতরের অপরাধ মূলক মনোভাবটা বেড়িয়ে এসেছে। এটাই অন্য সিনেমার সঙ্গে হুব্বার তফাৎ। আর বলিউডে মার্কেট বেশি। তারা যে টাকা লগ্নী করে তা পুরো ভারত থেকে তুলে নিতে পারে। আমাদের সিনেমা মুক্তি পেলে তার বাজার নিয়ে ভাবতে হয় ৷ আমাদের সীমিত পরিকাঠামো। লগ্নিও তাই। তাতেও সারা পৃথিবীতে দেখছি আমার সিনেমাটা নেওয়ার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করছে, তাহলে নিশ্চয়ই সিনেমাটার মধ্যে দম আছে।"