হায়দরাবাদ, 22 নভেম্বর: অস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী এআর রহমান এবং সায়রা বানুর বিবাহ বিচ্ছেদের খবর নেটপাড়ায় হটকেক ৷ 29 বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতির নেপথ্যে গিটারিস্ট মোহিনী দে-র নামও জুড়ে গিয়েছে ৷ ফলে সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক উঠে আসা মন্তব্যকে ঘিরে ফের একবার মুখ খুলেছেন দম্পতির আইনজীবী বন্দনা শাহ।
সম্প্রতি বন্দনা দম্পতির ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ এআর রহমান এবং সায়রা বানুর ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।"
আইএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্দনা শাহ দম্পতির গোপনীয়তা বজায় রাখার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, "এআর রহমান ও সায়রা বানুর এখনও ডিভোর্স হয়নি। দু'জনের মামলা আমি দেখছি। আমি তাঁদের বিচ্ছেদ সম্পর্কে কিছু বলতে পারি না ৷ তবে হ্যাঁ, তাঁদের 29 বছরের বিবাহিত জীবন ছিল।"
তিনি আরও বলেন, "প্রতিটা বিয়েতেই উত্থান-পতন থাকাটা স্বাভাবিক। আমি বুঝতে পারি যে দম্পতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ভীষণ কঠিন ছিল ৷ তবে এটি তাঁদের উভয়ের পারস্পরিক সম্মতিতে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। এই সময়ে পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করা উচিত।" আইনজীবী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এআর রহমানের বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে গিটারিস্ট মোহিনী দে-র স্বামী মার্ক হার্টসের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তের কোনও সম্পর্ক নেই। একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে আইনজীবী বলেন, "এই বিষয়ে মোহিনী দে-র কোনও সম্পর্ক নেই। সায়রা ও রহমান নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
বিয়ের 29 বছর পর স্বামী এআর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা। একে অপরের প্রতি তাঁদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, দম্পতির মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব ৷ সায়রা এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে জনসাধারণের কাছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রাখতে অনুরোধ করেছেন।
এআর রহমান ও সায়রা বানু 1995 সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন ৷ দম্পতির খাতিজা, রহিমা ও আমীন রহমান নামে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। গত মঙ্গলবার এআর রহমান ও সায়রা বানু তাঁদের বিচ্ছেদের কথা সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছেন ৷