হায়দরাবাদ, 11 ফেব্রুয়ারি:কোনও সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে টানা 50 দিন চললে বক্সঅফিসে যেমন ছাপ ফেলে তেমনই দর্শকদের সেই ছবির প্রতি ভালোবাসা কেমন, তাও আন্দাজ করা যায় ৷ বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত 'টুয়েলভথ ফেল' তেমনই এক ছবির উদাহরণ, যা প্রেক্ষাগৃহে পার করেছে 100 দিন ৷ 2003 সালের 27 অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি ৷ বিক্রান্ত ম্যাসির অভিনয় দর্শকদের ভাবিয়েছে, কাঁদিয়েছে ৷ বক্সঅফিসেও তার ছাপ পড়েছে ৷ ছবির সাফল্যের পিছনে কেমন ছিল কলাকুশলীদের কঠিন পরিশ্রম, সম্প্রতি প্রকাশ্যে জানালেন পরিচালক ৷
ইউটিউবে প্রকাশ্যে এসেছে বিক্রান্ত ম্যাসি ও বিধু বিনোদ চোপড়ার এক কথোপকথন ৷ সেখানে উঠে আসে পর্দার পিছনে থাকা অজানা নানা কাহিনী ৷ এখানেই পরিচালক জানান, যখন এই ছবির পরিকল্পনা চলছিল, তখন তাঁর স্ত্রী অনুপমা চোপড়া সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি নাও চলতে পারে ৷ এমনকী তিনি নাকি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ছবিটি যাতে শুধু ওটিটি-তে মুক্তি পায় ৷ কিন্তু পরিচালক শুনেছেন নিজের মনের কথা ৷ প্রেক্ষাগৃহেই মুক্তি পায় টুয়েলভথ ফেল ৷ তারপর তা ইতিহাস তৈরি করে ৷
এরপর সামনে আসে ছবির চিত্রনাট্যের প্রসঙ্গ ৷ সেখানে বিক্রান্ত জানান, ছবির শুটিং করার সময় বারবার বদল এসেছে চিত্রনাট্যে ৷ যে সংলাপ শুনে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছে, তা বদলানো হয়েছে একশোবারের বেশি ৷ বিক্রান্ত জানান, দুটো স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছিল ৷ একটা নোট হিসেবে ছিল পরিচালকের কাছে। আর একটি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেটা 179 বার পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ মূলত অনুরাগ পাঠকের বই থেকে তুলে আনা হয়েছে আইপিএস অফিসার মনোজ কুমারের জার্নি ৷ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তাঁর স্ত্রী আইআরএস অফিসার শ্রদ্ধা জোশি ৷
বিক্রান্তকে দেখা যায় মনোজের চরিত্রে ও শ্রদ্ধার চরিত্রে দেখা যায় মেধা শঙ্করকে ৷ 20 কোটি বাজেটের এই ছবি ভারতের বক্সঅফিসে আয় করে 55.63 কোটি টাকা ৷ এখনও সেই ছবি প্রেক্ষাগৃহে ও ওটিটি-তে নিজের ম্যাজিক অব্যাহত রেখে চলেছে ৷