কলকাতা, 16 অক্টোবর: বুধ নাকি বৃহস্পতিবার কবে লক্ষ্মী পুজো? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘোরা ফেরা করছে। শাস্ত্র মতে বুধবার রাত থেকে পুজোর শুভ ক্ষণ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর আরাধনা হবে ঘরে ঘরে। আর সেই আরাধনায় মায়ের ভোগের সবজি, তরকারি কিংবা প্রসাদের ফল থেকে প্রতিমা কিনতে গিয়ে রীতিমতো হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের।
কেউ পুজো করেন সরার লক্ষ্মী কেউ বা প্রতিমা কেনেন । এবছর একদম ছোট্ট দেড় থেকে দুই ফুটের প্রতিমার দাম প্রায় 1000 টাকা ছুঁয়েছে। প্রতিমা যত বড়, তার দামও ততই পল্লা দিয়ে বেড়েছে। লক্ষ্মী পুজোয় মাকে নানা ধরনের সবজি, তরকারির সঙ্গে লুচি ভোগ দেন। কেউবা দেন খিচুড়ি ভোগ। তবে এবার জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি হওয়াতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ফসল। এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে খুচরো বাজারে। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে শাক-সবজির দাম। সেই মূল্যবৃদ্ধি আরও খানিকটা গতি পেয়েছে লক্ষ্মী পুজোর বাজারে।
লক্ষ্মী পুজো (ইটিভি ভারত)
খুচরো বাজারে শাক-সবজির দামের তালিকা:
এখন বাঁধাকপি কেজি 60 টাকা। ফুলকপি প্রতিটা 60 টাকা। বেগুন বাড়তে বাড়তে 160 টাকা-170 টাকায় দাঁড়িয়েছে। পটল প্রতি কেজি দাম 60 টাকা। পুজোর সময় 40 টাকা থেকে 50 টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। টমেটো বেড়ে এখন কেজি প্রতি দাম 80-90 টাকা।
উচ্ছে 60 টাকা কেজি। পেঁপে 60 টাকা প্রতি কেজি। গাজর কেজি 50 টাকা। বিমস ও ক্যাপসিকাম কেজি প্রতি 200 টাকা দাম দাঁড়িয়েছে। এদিকে জ্যোতি আলু কেজি 32 টাকা থেকে 34 টাকা। চন্দ্রমুখী আলু বিকোচ্ছে 40 টাকা থেকে 42 টাকা কেজি প্রতি, কাঁচা লঙ্কা 150-200 টাকা কেজি। সাদা মূলা 80 টাকা কেজি।
খুচরো বাজারে ফলের দামের তালিকা:
এদিকে প্রাসাদের ফলের দামও নেহাত কম নয়। শশা বেশ কিছু দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল 30 টাকা কেজি এখন দাম বেড়ে দ্বিগুণ। প্রতি কেজি শশা এখন 50 টাকা থেকে 60 টাকা কেজি। একদম ছোট্ট নারকেল দাম 25 টাকা থেকে 30 টাকা। বড় নারকেল 40-50 টাকা এক একটি বিক্রি হচ্ছে।
কলা ডজন 50-60 টাকা। পেয়ারা 80 টাকা থেকে 100 টাকা কেজি হিসেবে বিকোচ্ছে। আপেল কেজি প্রতি দাম 160 টাকা থেকে 180 টাকা। ন্যাসপাতি কেজি 130 টাকা থেকে 150 টাকা প্রতি কেজি। বেদনার দাম দাঁড়িয়েছে 230 টাকা থেকে 250 টাকা কেজি।
আনারস এক একটি ছোট 80 টাকা থেকে 100 টাকা। বড় হলে 120 টাকা এক একটি। আতা 150 টাকা কেজি। আঙুর -150 কেজি। তবে যতই মহার্ঘ হোক, দেবীর আরাধনায় ত্রুটি রাখতে চান না ভক্তরা।
বিক্রেতাদের কথায়, পুজোর দিনগুলিতে একটু দাম বাড়ে। তবে এই বছর সেই বৃদ্ধি অনেকটা বেশি হয়েছে মালের যোগান কম থাকায়। জেলায় জেলায় বন্যায় সব সবজি, ফল নষ্ট হয়েছে। এক ক্রেতার কথায়, "কোনও না কোনও কারণ উঠে আসে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য। আমরা বাধ্য হয়েই কিনি। পুজো তো আমাদের করতে হবেই। বছরে একদিনই । তাই পরিমাণে সামান্য কাটছাঁট করে পুজো করতে হয়।"