হলদওয়ানি (উত্তরাখণ্ড), 8 ফেব্রুয়ারি: বেআইনিভাবে নির্মিত হয়েছে মাদ্রাসা ৷ এমনই দাবি করে বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল হলদওয়ানির কাছে নির্মিত ওই মাদ্রাসাটি ভেঙে দেওয়া হয় ৷ তারপরই শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হল ৷ দুষ্কৃতীরা স্থানীয় থানা থেকে এলাকার একাধিক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয় ৷ জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই শহরে কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি, হামলাকারীদের দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুলিশের গুলিতে তিন জন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে 1 জনের প্রাণ যায়।
জানা গিয়েছে, মাদ্রাসাটি অবৈধভাবে নির্মিত বলে দাবি করেছে প্রশাসন। ওই ভবনটি ভেঙে দেওয়ার সময় কয়েকজন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন এলাকাবাসী ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ায় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন। আরও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে হলদওয়ানি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সঙ্গে জেলা প্রশাসন যৌথভাবে সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ ধ্বংস করছে। ওই দলটি বুলডোজার নিয়ে এদিন বনভুলপুরা থানার অন্তর্গত ওই মাদ্রাসাটিও ভেঙে দেয় ৷
আর তারপরই স্থানীয় বাসিন্দারা এই নির্মাণকে ভেঙে ফেলার পর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। বাড়ির ছাদ থেকে জেসিবি মেশিন ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে ৷ এতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহতও হন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এছাড়াও পুলিশের কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ জনতাকে থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। পরে উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে।