রাজসমন্দ (রাজস্থান), 30জুলাই: নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ ধসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ৷ রাজস্থানের রাজসমন্দরের খামনোর থানা এলাকার সায়ন কা খেদা পঞ্চায়েতের চিকালওয়াসের বালাই এলাকায় নির্মাণকাজ চলছিল ৷ সেই বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে । ধ্বংসস্তূপের নীচে আটতে পড়েন 13জন ৷ তারমধ্যে 4 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ গুরুতর আহত 9 শ্রমিক ৷ মঙ্গলবার ভোর রাতে প্রায় 5 ঘণ্টার চেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক ডাঃ ভানওয়ারলাল এবং এসপি মনীশ ত্রিপাঠি।
দুর্ঘটনায় মৃতরা হলেন, ভগবতীলাল (40), ভানওয়ারলাল (50), শান্তিলাল (35), ছেলে কালুলাল (40)। আহতরা হলেন, হীরালাল (30), মাঙ্গীলাল (35), মিঠুলাল (30), লক্ষ্মণ (35), গোপিলাল (65) এস/ও খিমা সালভি ৷ আহত বাকী তিন জনের নাম জানা যায়নি ৷ দুর্ঘটনায় আহতরা সকলেই সায়ন কা খেদা পঞ্চায়েতের চিকালবাসের বালাই বস্তির বাসিন্দা।
রাজসামন্দ জেলা কালেক্টর ডাঃ ভানওয়ারলাল জানান, মেঘওয়াল সম্প্রদায়ের জন্য চিকালওয়াস গ্রামে ধর্মশালা তৈরি করা হচ্ছে । সোমবার রাতে গ্রামবাসীরা নির্মীয়মাণ ওই ধর্মশালা পরিষ্কার ও রং করছিলেন ৷ সেই সময়েই ছাদ ধসে পড়ে। আশেপাশে কোনও বাড়িঘর ছিল না। ফলে বেশি প্রাণহানী থেকে রেহাই পাওয়া গিয়েছে ৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে যাওয়া এক ব্যক্তি (ওয়ার্ড পঞ্চম হীরালাল) তাঁর মোবাইল থেকে ফোন করে গ্রামে দুর্ঘটনার কথা জানান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন খামনোর থানার ইনচার্জ ভগবান সিং, নাথদ্বারার ডিএসপি দিনেশ সুখওয়াল। সোমবার রাত 10.30 নাগাদ জেলা কালেক্টর ডাঃ ভানওয়ারলাল, এসপি মনীশ ত্রিপাঠি, এএসপি মহেন্দ্র কুমারও ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির আধিকারিকরা ৷ শুরু করেন উদ্ধারকাজ ৷
জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ সরাতে ছ’টি জেসিবি আনা হয়েছিল ৷ সোমবার রাত 11টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয় ৷ ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ছাদ ভেঙে 3 জনকে নিরাপদে বের করা গেলেও। বাকিদের উদ্ধার করতে গিয়ে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ৷ আহতদের নাথদ্বারায় অবস্থিত গোবর্ধন সরকারি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।