নয়াদিল্লি, 15 সেপ্টেম্বর: একসময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান পথ ছিল সমুদ্র ৷ সময়ের সঙ্গে সমুদ্র পথ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিশ্বে ভূ-রাজনীতিতে ৷ সেখানে ভারতের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ ৷ একবিংশ শতকে বিশ্বের সমুদ্র মানচিত্রে ভারতের অবস্থান কী ? জলপথে সুরক্ষায় ভারত কতটা প্রস্তুত ? ভারতের এই দিকগুলির নিয়ে প্রচারে সমুদ্র অভিযানে বের হবেন দুই তরুণী ৷
তাঁরা দু'জনে ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিক- লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার রুপা এ এবং লেফটেন্যান্ট কম্যান্ডার দিলনা কে ৷ এই দুর্দান্ত সমুদ্র অভিযানে তাঁদের বাহন আইএনএসভি তারিণী ৷ রবিবার এই খবরটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী ৷ দুই নৌ-আধিকারিক সমুদ্রপথে পৃথিবী পরিক্রমা করবেন ৷
গত তিন বছর ধরে তাঁরা এই অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছেন ৷ ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে এই দুর্ধর্ষ অভিযানের একটি লোগোও প্রকাশ করা হয়েছে ৷ আট কোনার এই লোগোর মধ্যিখানে একটি বৃত্তে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে একটি নৌকা, যা নৌবাহিনীর চিহ্ন ৷ এর পিছনে রয়েছে উদিত সূর্য কম্পাসের প্রতীক, যা সমুদ্রে দিকনির্দেশ করে নাবিকদের সঠিক পথ দেখায় ৷
এই প্রসঙ্গে নৌবাহিনীর মুখপাত্র কম্যান্ডার বিবেক মাধওয়াল বলেন, "এই সাগর পরিক্রমা একটা দুর্দান্ত অভিযান ৷ এর জন্য শারীরিক দিক দিয়ে যেমন সুস্থতা হওয়া প্রয়োজন, তেমনই মনের জোরও দরকার ৷ আর প্রচণ্ড দক্ষতাও ৷ আধিকারিকরা সমুদ্রপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন ৷ হাজার হাজার মাইল জলপথ তাঁরা অতিক্রম করেছেন ৷"
তিনি আরও জানান, দুই নৌবাহিনীর মহিলা আধিকারিক অবসরপ্রাপ্ত কম্যান্ডার অভিলাষ টমির কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৷ কম্যান্ডার টমি একজন অন্যতম সেরা বিশ্ব পর্যটক এবং গোল্ডেন গ্লোব রেস হিরো ৷ দুই তরুণী নৌ-আধিকারিকের সমুদ্রপথে পৃথিবী ঘোরার উদ্দেশ্য, ভারতের সমুদ্র-ঐতিহ্যকে তুলে ধরা ৷ বিশ্বের সমুদ্র মানচিত্রে ভারতের গুরুত্ব কতটা, তা প্রচার করা ৷ সমুদ্রে সফরে লিঙ্গ কোনও বাধা নয়, এই বার্তা দুনিয়াকে দেওয়া ৷