কৃষ্ণগিরি (তামিলনাড়ু), 6 ফেব্রুয়ারি:বছর তেরোর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি তামিলনাড়ুর এক হাইস্কুলের ৷ একমাস ধরে স্কুলে না-আসায় প্রধান শিক্ষক তার সহপাঠীদের কাছে কারণ জানতে চান ৷ কিন্তু কেউ কিছু জানে না বলে হেডস্যরকে জানায় ৷ এরপরই ছাত্রীর খোঁজে প্রধান শিক্ষক নিজেই তার বাড়িতে যান ৷ ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে কারণ জানতে পেরে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় প্রধান শিক্ষকের ৷
প্রধান শিক্ষক ছাত্রীর মা-কে জিজ্ঞাসা করেন, কেন সে এক মাস ধরে স্কুলে আসছে না ? মা জানান মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। স্কুলের তিন শিক্ষক তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছে ৷ গর্ভপাত করাতে তিনি মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এমনটা শুনে চমকে ওঠেন প্রধান শিক্ষক ৷ মেয়েটির মায়ের দেওয়া তথ্য শুনে তিনি হতবাক হয়ে যান। প্রধান শিক্ষক অবিলম্বে মাকে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন। এরপর মেয়েটির মা জেলা শিশু সুরক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে, সেখানকার আধিকারিকরা মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপর ছাত্রীর মাকে নিয়ে জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক বারগুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে বরকুর ডিএসপি-র নেতৃত্বে 3 অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা (পকসো) আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকাবাসী ৷ মেয়েটির মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দেন কৃষ্ণগিরির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুনিরাজ ৷ আদালত তিন অভিযুক্তকে 15 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
ঘটনা সম্পর্কে কৃষ্ণগিরি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এডুকেশন অফিসার মুনিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইটিভি ভারত। তিনি বলেন, " তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । যে সমস্ত শিক্ষকরা জড়িত তাদের সালপেন্ড করা হয়েছে।" পাশাপাশি জেলার কালেক্টার দীনেশ কুমার বলেন, "এমন একটি ঘটনার কথা আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ তদন্ত করে গ্রেফতারও করেছে। যার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে। "