ETV Bharat / bharat

দাগ লুকোতে সেলাইয়ের বদলে ফেভিকুইক, নার্সের কাণ্ডে হতবাক পরিবার - NURSE USES FEVIKWIK ON WOUND

সরকারি হাসপাতালের নার্সের এ কী কাণ্ড ! গভীর ক্ষততে সেলাই করার পরিবর্তে ফেভিকুইক ব্যবহার করলেন নার্স ৷

NURSE USES FEVIKWIK ON WOUND
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Feb 6, 2025, 5:37 PM IST

বেঙ্গালুরু, 6 ফেব্রুয়ারি: 'সেলাই করলে মুখে দাগ হয়ে যাবে, আঠাই ভালো ৷' ওই নাবালকের বাবা ও মা একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন যখন নার্সটি তাঁদেন সন্তানের মুখের ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের বদলে ফেভিকুইক ব্যবহার করছিলেন ৷ কর্ণাটকের সরকারি হাসপাতালের ওই নার্স জানান, তিনি বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন ৷ এই ব্যবস্থায় ভালো, কারণ সেলাই করলে তাঁদের সন্তানের মুখে স্থায়ীভাবে দাগ হয়ে যাবে ৷

গত 14 জানুয়ারি কর্ণাটকের হাভেরি জেলার হানাগল তালুকের আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে ৷ 7 বছর বয়সি গুরুকিষণ আন্নাপ্পা হোসামানির গালে গভীর ক্ষত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ তার বাবা-মা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেইসময় এমন চরম পদক্ষেপ নেন নার্স ৷ নাবালকের বাবা, মা এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন ও পরে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ও ভিডিয়োটি প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরেন ৷

ভিডিয়োতে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জ্যোতি নামের ওই নার্সকে বরখাস্ত করার পরিবর্তে অন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করে ৷ 3 ফেব্রুয়ারি ওই নার্স হাভেরির গুটঠল স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন ৷ এদিকে তাঁর কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায় ৷ তাঁকে ঘিরে ওই স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ এরপরই নড়চড়ে বসে স্বাস্থ্য় দফতর ৷ বুধবার কর্ণাটকের মুখ্যসচিব তড়িঘড়ি একটি বৈঠক ডাকেন ৷

সেখানে ওই নার্সকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক বিবৃতি অনুসারে, "ফেভিকুইক একটি আঠালো দ্রবণ যা নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়। এই ক্ষেত্রে, শিশুটির চিকিৎসায় ফেভিকুইক ব্যবহার করে তাঁর কর্তব্যে অবহেলার জন্য ওই নার্সকে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী আরও পরবর্তী তদন্ত জারি রয়েছে ৷ যে নাবালকের এই চিকিৎসা হয়েছে, সে এখন সুস্থ ৷"

বেঙ্গালুরু, 6 ফেব্রুয়ারি: 'সেলাই করলে মুখে দাগ হয়ে যাবে, আঠাই ভালো ৷' ওই নাবালকের বাবা ও মা একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন যখন নার্সটি তাঁদেন সন্তানের মুখের ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের বদলে ফেভিকুইক ব্যবহার করছিলেন ৷ কর্ণাটকের সরকারি হাসপাতালের ওই নার্স জানান, তিনি বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন ৷ এই ব্যবস্থায় ভালো, কারণ সেলাই করলে তাঁদের সন্তানের মুখে স্থায়ীভাবে দাগ হয়ে যাবে ৷

গত 14 জানুয়ারি কর্ণাটকের হাভেরি জেলার হানাগল তালুকের আদুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে ৷ 7 বছর বয়সি গুরুকিষণ আন্নাপ্পা হোসামানির গালে গভীর ক্ষত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ৷ তার বাবা-মা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেইসময় এমন চরম পদক্ষেপ নেন নার্স ৷ নাবালকের বাবা, মা এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন ও পরে তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ও ভিডিয়োটি প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরেন ৷

ভিডিয়োতে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জ্যোতি নামের ওই নার্সকে বরখাস্ত করার পরিবর্তে অন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করে ৷ 3 ফেব্রুয়ারি ওই নার্স হাভেরির গুটঠল স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন ৷ এদিকে তাঁর কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায় ৷ তাঁকে ঘিরে ওই স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ শুরু হয় ৷ এরপরই নড়চড়ে বসে স্বাস্থ্য় দফতর ৷ বুধবার কর্ণাটকের মুখ্যসচিব তড়িঘড়ি একটি বৈঠক ডাকেন ৷

সেখানে ওই নার্সকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের এক বিবৃতি অনুসারে, "ফেভিকুইক একটি আঠালো দ্রবণ যা নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়। এই ক্ষেত্রে, শিশুটির চিকিৎসায় ফেভিকুইক ব্যবহার করে তাঁর কর্তব্যে অবহেলার জন্য ওই নার্সকে প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী আরও পরবর্তী তদন্ত জারি রয়েছে ৷ যে নাবালকের এই চিকিৎসা হয়েছে, সে এখন সুস্থ ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.