পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

আইনের শাসনে 'বুলডোজার বিচার' কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়: সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি প্রকল্পের জন্য কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বা সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে প্রসাসনিক কর্তাদের বেআইনি পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের ৷

Supreme Court
সুপ্রিম কোর্ট (( আইএএনএস ))

By PTI

Published : Nov 10, 2024, 9:48 AM IST

নয়াদিল্লি, 10 নভেম্বর: সম্পত্তি ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর দমন করা যায় না এবং আইনের শাসনে "বুলডোজার বিচার" কখনওই গ্রহণযোগ্য নয় ৷ এ কথা স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূরের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বলেছে যে, বেআইনি দখল বা বেআইনিভাবে নির্মিত কোনও কাঠামো, ভবন অপসারণের জন্য পদক্ষেপ করার আগে রাজ্যকে অবশ্যই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বুলডোজারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কোনও সভ্য ব্যবস্থার আইনশাস্ত্রে অজানা ৷ এমনটাই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের ৷

বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "আইনের শাসনে বুলডোজারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি অনুমোদিত হলে সংবিধানের 300A অনুচ্ছেদের আওতায় সম্পত্তির অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।"

সংবিধানের 300A অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, আইনি নির্দেশ ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। দেশের শীর্ষ আদালত 2019 সালে উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার একটি বাড়ি ভাঙার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলার বিষয়ে 6 নভেম্বর এই রায় দিয়েছে।

একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার আবেদনকারীর বাড়ি ভেঙে দেয়। ওই মামলায় শীর্ষ আদালতে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসাবে আবেদনকারীকে 25 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে বলা হয়েছে, "নাগরিকদের সম্পত্তি এবং বসতবাড়ি ধ্বংস করার ভয় দেখিয়ে তাঁদের কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখা যাবে না। একজন নাগরিকের চূড়ান্ত নিরাপত্তার জায়গা হল তাঁর বসতবাড়ি ৷"

শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে যে, পৌর আইন এবং শহর পরিকল্পনা আইন রয়েছে, যেখানে অবৈধ দখলের মোকাবিলা করার পর্যাপ্ত বিধান রয়েছে। এই আইনে থাকা সুরক্ষাগুলি অনুসরণ করা উচিত। নাগরিকদের সম্পত্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পদ্ধতিগত সুরক্ষার কিছু ন্যূনতম পদক্ষেপ করার প্রস্তাব করছি যা পূরণ হওয়া উচিত। রাজ্যের প্রসাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাঁরা এই ধরনের বেআইনি পদক্ষেপ নেন বা অনুমোদন করেন। তাঁদের আইন লঙ্ঘনের জন্য ফৌজদারি শাস্তি হওয়া উচিত। নাগরিকদের প্রতি দায়বদ্ধতা সরকারি কর্তাদের আদর্শ হওয়া উচিত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি সম্পর্কিত যে কোনও পদক্ষেপকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে করতে হবে।

আরও পড়ুন
আরজি করের নির্যাতিতার মামলার শুনানি-বিচার বাংলার বাইরে নয়, সাফ জানাল শীর্ষ আদালত
উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা বৈধ, সাংবিধানিক ! জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

ABOUT THE AUTHOR

...view details