নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর: সিবিআই-এর হাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজ দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ৷ ব্যক্তিগত 10 লক্ষ টাকার বন্ডে আজ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে বলেছে যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের মামলায় কেজরিওয়ালকে হেফাজতে রাখা ন্যায়বিচারের জন্যে প্রতারণা করা হবে । সন্ধ্যায় জামিন পাওয়ার পর রোড শো করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ।
গত 5 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং উজ্জ্বল ভূইয়াঁর বেঞ্চ দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে কেজরিওয়ালের জামিন ওর মুক্তির আবেদনের ওপর রায় সুরক্ষিত রেখেছিল ৷ এদিন রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মণীশ সিসোদিয়া, অতীশি-সহ আপ শীর্ষনেতারা আনন্দে ফেটে পড়েন। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়া বলেন, "ভারতে সংবিধানের ঊর্ধ্বে কিছুই নয় ৷ সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় শুধু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য নয়, এটি একটি নিশ্চয়তা যে, যে কেউ স্বৈরতান্ত্রিক শাসক হিসেবে আসুক না কেন, দেশের সংবিধান একটা ঢাল হিসেবে সবসময় তাঁর সামনে থাকে ৷ এটা আজ প্রমাণিত যে, সিবিআই-এর গ্রেফতার আসলে ছিল ইডি মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন আটকাতে। তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে সংবিধানের ঢাল রয়েছে। সচ্চাই অউর কট্টর ইমানদারি হামেশা জোশ মে রেহতি হ্যায়।"
জামিনের খবর পাওয়ার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কেজরিওয়ালপত্নী সুনিতা বলেন, "আপ পরিবারকে অভিনন্দন, শক্তিশালী থাকার জন্য ধন্যবাদ।" কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেন, "সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ। তিনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) শুধু একটি নাম নন, বরং সৎ রাজনীতির একটি ব্র্যান্ড। এর জন্য তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। কেজরিওয়াল যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নাম। এই সিদ্ধান্তে আপ আরও উজ্জীবিত হবে এবং সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় পড়ার পর আমরা পরবর্তী কৌশল তৈরি করব। অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার আসন্ন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে আপের হয়ে প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন।"
আজ সুপ্রিম কোর্টে রায়দানের সময় জামিন দেওয়া নিয়ে বিচারপতি কান্তের সঙ্গে একমত হয়ে বিচারপতি ভূঁইয়া বলেন, সিবিআই 22 মাস ধরে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেনি, অথচ ইডি-র মামলায় জামিন পাওয়ারই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা চলাকালীন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি জোরালো ভাবে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, কেজরিওয়াল দিল্লি আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় মূল হোতা এবং 'কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণের পাহাড়' রয়েছে ৷ মূল মামলায় দুই মাস আগে জামিন পেলেও, প্রায় ছয় মাস পরে আজ কেজরিওয়াল জেলের বাইরে আসতে চলেছেন কারণ, গত 12 জুলাই জামিন পাওয়ার পরই তাঁকে সিবিআই ফের গ্রেফতার করায় যিনি ছাড়া পাননি।